প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২০, ৮:১৪
ভারতে চলমান লকডাউন ২৯ দিনে গড়িয়েছে। এইরমধ্যে দেশটিতে শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা উর্ধ্বমুখী।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, বেশ কিছু রাজ্যে করোনা আক্রান্তের হার নিম্নগামী। দুটো রাজ্যে এখনও করোনার কোনও আক্রান্তের সন্ধানও পাওয়া যায়নি। ওদিকে বেশ কিছু রাজ্যের বিরুদ্ধে করোনা পরীক্ষা, ত্রাণ বিতরণ নিয়ে অভিযোগ উঠায়, দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলোতে ভিজিল্যান্স টিপ পাঠিয়েছে। এতেই রাজ্যগুলোর সঙ্গে নতুন করে ঝামেলা শুরু হয়েছে বিজেপি শাসিত কেন্দ্রের।
গোয়া ও মণিপুর রাজ্যকে করোনামুক্ত রাজ্য হিসাবে ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এছাড়াও দক্ষিণ ভারতের কেরালা রাজ্যটিও যেভাবে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে সুফল পেয়েছে গোটা ভারতের করোনা প্রবণ রাজ্যগুলোর সামনেই শুধু নয়, গোটা বিশ্বের কাছে হতে পারে দৃষ্টান্ত।
ভারতে বর্তমান পরিসংখ্যানের নিরিখে ৭.৬ দিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হলেও পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে সেটি ৬.৫ দিন হওয়ায় রাজ্যটি নিয়ে উদ্বেগ আরোও বাড়ছে।
কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা থেকে রোজ করোনা রোগীর খবর আসছে। এই এলাকা গুলো হাটস্পট এবং রেড জোন হিসাবে চিহ্নিত।
গোটা পরিস্থিতিতে উদ্বেগে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও। এদিকে বেশকিছু রাজ্যের বিরুদ্ধে করোনার রক্ত পরীক্ষা এবং ত্রাণ ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠানোকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সঙ্গেও তুমুল বিরোধে জড়িয়ে পড়েছে মোদী সরকার।
গতকাল মঙ্গলবার সারাদিন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি দলকে ভিজিল্যান্স চালাতে দেয়নি মমতার সরকার। যদিও রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কড়া চিঠির প্রেক্ষিতে বুধবার থেকে নমনীয় তৃণমূল সরকার।