মুলাদী উপজেলার নাজিরপুর নৌ-পুলিশের সদস্যরা কাটা রাইফেল, ম্যাগজিন, তাজা গুলি, ধারালো অস্ত্রসহ পাঁচ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে। সোমবার সকালে জয়ন্তী নদীর চরকালেখান ইউনিয়নের পূর্ব বানিমর্দন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনায় স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ সফলভাবে অভিযানে অংশগ্রহণ করে এবং ডাকাতদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও ডাকাতি সামগ্রী উদ্ধার করে।
নাজিরপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক খন্দকার শফিকুল ইসলাম জানান, সোমবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল জয়ন্তী নদীর বানিমর্দন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা তাদের ব্যবহৃত ইঞ্জিনচালিত ট্রলার, পল্টুন ও ভেকু ফেলে পালানোর চেষ্টা করে। তবে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ পাঁচ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো গৌরনদী উপজেলার কান্ডপাশা গ্রামের ইদ্রিস ফকির, বাবুগঞ্জের আগরপুরের চর ফতেপুর গ্রামের ফিরোজ আকন, নতুন চর জাহাপুর গ্রামের সায়েম বেপারী, বরিশালের কাশিপুর এলাকার মো. মহিউদ্দিন এবং কোতয়ালি মডেল থানা এলাকার হাবিব হাওলাদার। তাদের কাছ থেকে কাটা রাইফেল, ম্যাগজিন, পাঁচ রাউন্ড তাজা গুলি, ধারালো অস্ত্র, ইঞ্জিনচালিত ট্রলার, পল্টুন, ভেকু ও অন্যান্য ডাকাতি সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মুলাদী থানার ওসি জহিরুল আলম বলেন, "গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে অন্যান্য ডাকাত দলের সদস্য ও অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।"
গ্রেপ্তারকৃতদের বরাত দিয়ে নৌ-পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ৮ মার্চ বিকেলে বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূরে আলমের ইটভাটা থেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতরা পল্টুন ও ভেকু লুট করে। পরবর্তীতে এই সামগ্রীটি কালকিনির কয়ারিয়া ইউনিয়নের নূর মোহাম্মাদ মোল্লার ইটভাটায় রাখা হয়। রবিবার রাতে ডাকাতির ব্যবহৃত পল্টুন ও ভেকু বাবুগঞ্জ উপজেলার চরভুতেরদিয়া গ্রামের সহিদ প্যাদারের আস্তানায় নেওয়া হচ্ছিল।
এ ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনও নিজেদের কার্যক্রম ত্বরান্বিত করেছে এবং আরও অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, ডাকাত দলের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।