সংস্কার শেষ করে সুষ্ঠু নির্বাচন দিন: জামায়াত আমির

নিজস্ব প্রতিবেদক
সুজন কুমার শীল-থানা প্রতিনিধি বড়াইগ্রাম,নাটোর
প্রকাশিত: শুক্রবার ৩রা জানুয়ারী ২০২৫ ০৬:১৯ অপরাহ্ন
সংস্কার শেষ করে সুষ্ঠু নির্বাচন দিন: জামায়াত আমির

নাটোরে এক কর্মী সম্মেলনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান সরকারের প্রতি দ্রুত জরুরি সংস্কার শেষ করে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা নির্বাচিত দলের কাছে হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়েছেন। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকালে নবাব সিরাজ উদ্-দৌলা সরকারি কলেজ মাঠে এ কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তিনি।  


ডা. শফিকুর রহমান বলেন, দেশের ক্ষমতাসীনরা বারবার জনগণের আমানত খেয়ানত করেছে। বিশেষ করে ফ্যাসিবাদী সরকার দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর ধরে জনগণের ওপর জুলুম চালিয়েছে। এ সময়ে খুন, গুম, হত্যাসহ নানাভাবে সাধারণ মানুষকে দমন করা হয়েছে।  


তিনি আরও বলেন, ২০০৬ সালে আওয়ামী লীগ লগি-বৈঠার তাণ্ডব চালিয়ে মানুষ হত্যা করেছে এবং ক্ষমতায় এসে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। সর্বশেষ ৫ আগস্ট ২০২৪ সালে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করে দেশ ছেড়ে পালানোর ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ সময়ে তিনশোর বেশি মানুষ গুলির আঘাতে স্থায়ী পঙ্গুত্ববরণ করেছে।  


নির্বাচন প্রসঙ্গে জামায়াতের আমির বলেন, নির্বাচন তারাই করবে যারা জনগণকে সম্মান করে, দেশের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রাখে। ফ্যাসিবাদী সরকার তিনটি নির্বাচনে তাণ্ডব চালিয়েছে যা দেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে। যারা নির্বাচনের সুষ্ঠুতা ও মানুষের ভোটাধিকার বিশ্বাস করে না, তাদের অধীনে আর কোনো নির্বাচন হতে পারে না।  


তিনি বর্তমান সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, অতি জরুরি সংস্কার শেষ করে সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে যার যার জায়গায় ফিরে যান। এ নির্বাচনে জনগণ যাকে আস্থা দিয়ে ভোট দেবে, তারাই দেশের দায়িত্ব পালন করবে।  


সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন নাটোর জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক ডা. মীর নুরুল ইসলাম। আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ মো. শাহাবুদ্দিন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মো. ইউনুস আলী এবং প্রচার সম্পাদক আতিকুল রহমান রাসেল।  


ডা. শফিকুর রহমানের বক্তব্যে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট ও জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ফুটে উঠেছে। তার মতে, ক্ষমতাসীনদের উচিত দেশের জনগণের প্রতি সম্মান দেখিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা।