১৫০ সন্তানের বাবা হতে চান ষাটোর্ধ্ব ক্লাইভ

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার ১৬ই ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১০:০৩ অপরাহ্ন
১৫০ সন্তানের বাবা হতে চান ষাটোর্ধ্ব ক্লাইভ

বাবা হতে চান পৃথিবীর সব পুরুষই। তবে শখের বসে যে কেউ বাবা হতে চান, সেটি কিছুটা ব্যতিক্রম ঘটনাই বলা যায়। ব্রিটেনের অবসরপ্রাপ্ত গণিতের শিক্ষক ক্লাইভ জোন্স। তার শখ অধিক সন্তানের বাবা হওয়া। এরই মধ্যে ১২৯ সন্তানের বাবা হয়েছেন তিনি। আরও নয়জন পৃথিবীর আলো দেখার অপেক্ষায়। খুব শিগগিরই হবেন ১৩৮ সন্তানের জনক। তবে তার লক্ষ্য ১৫০ সন্তানের বাবা হওয়া।


৬৬ বছরের ক্লাইভ জোনস এরই মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বেশিসংখ্যক সন্তানের বাবার খেতাব পেয়েছেন। অন্তত তার নিজের দাবি তেমনই। তবে স্বাভাবিক উপায়ে নয়, শুক্রাণু দানের মাধ্যমে এসব সন্তানের বাবা হয়েছেন তিনি। অবসরপ্রাপ্ত অঙ্কের শিক্ষক ক্লাইভ জোন্স ফেসবুকের মাধ্যমে নিজের শুক্রাণু দান করেন।


স্থানীয় গণমাধ্যমকে ক্লাইভ জোন্স বলেন, ‘আমি সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে উর্বর শুক্রাণুদাতা।’ ১২৯ জন শিশু এরই মধ্যে জন্মগ্রহণ করেছে। পৃথিবীর আলো দেখার অপেক্ষায় আছে আরও ৯টি শিশু। ১২ বছর ধরে শুক্রাণু দান করে আসা ক্লাইভ আরও জানান, আরও কয়েক বছর এই শুক্রাণু দান চালিয়ে যেতে চান তিনি। তার ইচ্ছা, ১৫০ জন সন্তানের বাবা হওয়া। সন্তানবিহীন পরিবারগুলোতে ‘খুশি’ ছড়িয়ে দিতে ক্লাইভ ফেসবুকের মাধ্যমে শুক্রাণু দান শুরু করেন।


ক্লাইভ ৫৮ বছর বয়স থেকে শুক্রাণু দান শুরু করেন। এ কাজের জন্য ফেসবুক বেছে নেওয়ার কারণ হলো, তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে শুক্রাণু দান করতে পারবেন না। কারণ, যুক্তরাজ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে শুক্রাণু দানের সময়সীমা ৪৫ বছর পর্যন্ত। এর বেশি বয়সী কেউ দেশটিতে শুক্রাণু ব্যাংকের মাধ্যমে শুক্রাণু দিতে পারেন না।


কর্তৃপক্ষ অবশ্য জোনসের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি করেছে। যুক্তরাজ্যের মানব নিষিক্তকরণ এবং ভ্রূণবিদ্যা কর্তৃপক্ষের নিয়মানুযায়ী, সব শুক্রাণুদাতা এবং রোগীদের লাইসেন্সপ্রাপ্ত ক্লিনিকগুলোর মাধ্যমেই এ পদ্ধতিতে সন্তান নেওয়া উচিত। এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কিন্তু তার এ ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। ইতোমধ্যে প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, এভাবে ব্যক্তিগতভাবে তার থেকে শুক্রাণু নেওয়াটা মোটেই স্বাস্থ্যকর কাজ নয়। যদিও এতে থামিয়ে রাখা যাচ্ছে না ক্লাইভ এবং তার শুক্রাণুপ্রার্থীদের। প্রতিনিয়ত চলছে বিতরণের কাজ।