অনলাইনে পণ্য ও সেবা বিক্রয়ের ক্ষেত্রে বিক্রয়কারি প্রতিষ্ঠানকে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) পরিশোধ করতে হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) অনলাইনে পণ্য ও সেবা বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ভ্যাট আদায়ের এই নির্দেশনা প্রদান করেছে।
এর পাশাপাশি সংস্থাটি ‘অনলাইনে পণ্য বিক্রয়’ সংক্রান্ত ব্যাখ্যাও দিয়েছে। ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে,অনলাইনে পণ্য বিক্রয় অর্থ ইলেকট্রনিক নেটওয়ার্ক ব্যবহারের মাধ্যমে সেই সকল পণ্য ও সেবার ক্রয়-বিক্রয়কে বুঝাবে যা ইতোপূর্বে কেনো উৎপাদনকারি বা সেবা প্রদানকারির নিকট হতে ভ্যাট পরিশোধপূর্বক গৃহীত হয়েছে এবং যাদের নিজস্ব কোন বিক্রয়কেন্দ্র নেই।
এনবিআর ব্যাখায় উল্লেখ করেছে, অনলাইনে পণ্য বিক্রয়কারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায় কার্যক্রম পর্যালোচনায় দেখা গেছে-এ ধরনের সেবা প্রদানকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ বিভিন্ন উৎস হতে করযোগ্য এবং কর অব্যাহতি প্রাপ্ত উভয় ধরনের পণ্য সংগ্রহ করে নিজেরা মূলত একটি বিক্রয় মাধ্যম হিসেবে কাজ করে গ্রাহক পর্যায়ে পৌঁছে দেয় এবং গ্রাহকগণ এ সকল পণ্যের চূড়ান্ত ভোক্তা। তবে সামগ্রিক প্রক্রিয়ায় অনলাইনে পণ্য বিক্রয়কারি প্রতিষ্ঠানসমূহ করযোগ্য কিংবা কর অব্যাহতিপ্রাপ্ত যে ধরনের পণ্য সরবরাহ করুক না কেন, প্রাপ্ত সেবামূল্যের বিপরীতে ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট প্রযোজ্য হবে।
রাজস্ব প্রশাসন বলছে, অনলাইনে পণ্য বিক্রয়কারি প্রতিষ্ঠানসমূহ মূল উৎপাদনকারি বা সরবরাহকারি হতে করযোগ্য পণ্য ভ্যাট ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক পরিশোধপূর্বক সংগ্রহ করে একই মূল্যে চূড়ান্ত ভোক্তার নিকট সরবরাহ করলে পুনরায় সম্পূর্ণ পণ্য মূল্যের ওপর ভ্যাট প্রযোজ্য হবে না।কেননা, এক্ষেত্রে দ্বৈত কর আরোপিত হয়ে যায়। তবে এক্ষেত্রে কর পরিশোধের প্রমাণ হিসেবে ভ্যাট চালানপত্র বা ট্রেজারি চালানের কপি অনলাইনে পণ্য বিক্রয়কারি প্রতিষ্ঠানের দখলে থাকতে হবে।
সূত্র: বাসস
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।