পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ১০০ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল আমদানি করা হয়েছে। শেখ ট্রেডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই চাল আমদানি করেছে। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বন্দরের ইয়ার্ডে চালগুলো আনলোড করা হয়। এতে মোট চারটি পণ্যবাহী ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করে এবং ২৫ মেট্রিক টন করে চাল নিয়ে আসে।
বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ জানান, শনিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করে। এর আগে চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি এবং ২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর ও ৮ ডিসেম্বর বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে আতপ চাল আমদানি হয়েছিল।
এদিকে, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর মূলত পাথর আমদানির জন্য পরিচিত হলেও বর্তমানে চালসহ অন্যান্য খাদ্যপণ্যও নিয়মিত আমদানি হচ্ছে। শেখ ট্রেডার্সসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এই চাল আমদানি করছে, যা বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধির মাধ্যমে ভোগ্যপণ্যের দাম কমাতে সহায়ক হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা উজ্জল হোসেন জানান, চালগুলো বন্দরে আসার পর পরীক্ষার মাধ্যমে সেগুলোর মান নিশ্চিত করা হয়। তিনি বলেন, চালসহ অন্যান্য খাদ্যপণ্য নিয়মিত আমদানি হলে বাজারে জিনিসপত্রের দাম কমবে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের আহ্বায়ক রেজাউল করিম শাহিন বলেন, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরটির ভৌগলিক অবস্থান দেশের অন্যান্য স্থলবন্দরের তুলনায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, বন্দরটি দিয়ে চাল আমদানি হচ্ছে, তবে আরও কিছু খাদ্যপণ্য আমদানির সম্ভাবনা নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর বর্তমানে পাথর আমদানির ক্ষেত্রে বেশ জনপ্রিয় হলেও চাল ও অন্যান্য খাদ্যপণ্য আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের খাদ্য সংকট মোকাবেলায় সহায়ক হতে পারে। বিশেষ করে এ ধরনের আমদানি বাজারে খাদ্য সামগ্রীর সরবরাহ বৃদ্ধি করে, যা মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে সাহায্য করবে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, চালের মতো খাদ্যপণ্য আমদানির এই ধরনের উদ্যোগ দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আশা করা যাচ্ছে, বাণিজ্যিক কার্যক্রমের এই সম্প্রসারণ দেশের খাদ্য নিরাপত্তা এবং বাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
চাল আমদানির মাধ্যমে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দেশের খাদ্য বাজারে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে, যা কৃষকদের জন্যও সহায়ক হতে পারে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশীয় খাদ্য উৎপাদন এবং আমদানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা উন্মোচিত হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।