কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ও সংলগ্ন এলাকায় ৫ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানটি দিনভর চলে এবং আগামীকালও এর কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের নির্দেশে কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে।
অভিযানে, সৈকত ও সড়ক এলাকায় গড়ে ওঠা অবৈধ দোকানপাট, ঝিনুক-পান বিক্রির অস্থায়ী দোকান এবং খাবারের হোটেলগুলো ভেকু মেশিন দিয়ে ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। প্রশাসন জানিয়েছে, কুয়াকাটা সৈকতের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও পর্যটকদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে মাইকিং করে ব্যবসায়ীদের স্থানান্তরের জন্য বলা হয়েছিল, তবে অনেকেই না মানায় তাঁদের স্থাপনাগুলি গুড়িয়ে দেয়া হয়। তবে, উচ্ছেদের বিরুদ্ধে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, পুনর্বাসন না করেই এ ধরনের অভিযান চালানো অসাংবিধানিক। তারা বলেন, এই উচ্ছেদের ফলে কয়েক হাজার পরিবার বেকার হয়ে পড়বে এবং তাদের জীবিকা সংকটের মধ্যে পড়বে। ব্যবসায়ীদের দাবি, আগামী রাস পূর্ণিমা উৎসবের আগে তাদের পুনর্বাসন করা হোক।
এদিকে, কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন, সরকারি জমিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ সম্পূর্ণ বেআইনি। তিনি বলেন, "কুয়াকাটা সৈকতের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনার জন্যই এই অভিযান। সড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের ফলে জনচলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছিল, যা সহ্য করা যায় না।"
এই অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, কুয়াকাটা পৌরসভা, এবং মহিপুর থানা পুলিশ সহায়তা করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।