এবার সরকারি টাকায় কেউ হজে পাঠাবে না সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
সৌরভ নূর , বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২৪শে অক্টোবর ২০২৪ ১০:০০ অপরাহ্ন
এবার সরকারি টাকায় কেউ হজে পাঠাবে না সরকার

চলতি বছর কেউ সরকারি অর্থে হজে যেতে পারবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু-বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এ ঘোষণা দেন। উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম এবং প্রেস সচিব শফিকুল আলম।


রিজওয়ানা হাসান জানান, শুধুমাত্র হজ ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যক্তিরাই সরকারি খরচে হজে যেতে পারবেন। তিনি আরও বলেন, “এ বছর সরকারি অর্থে হজে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যারা হজ ব্যবস্থাপনার জন্য যেতে হয়, শুধুমাত্র তারাই যাবেন। তবে, হজের ব্যয় কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে এবং এ বিষয়ে আমরা যথাসম্ভব পদক্ষেপ নিচ্ছি।” হজ প্যাকেজের চূড়ান্ত ঘোষণা এই মাসের শেষের দিকে প্রকাশিত হবে বলে তিনি জানান।


হজের প্যাকেজ নিয়ে আরও ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের হজ ব্যবস্থাপনা শুধুমাত্র দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনা নয়, এটি সৌদি আরবের ব্যবস্থাপনাও অন্তর্ভুক্ত করে। ফলে, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।”


হজের খরচ কমানোর প্রচেষ্টার পেছনে মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয় সরকারের ব্যয়সংকোচন নীতি এবং অর্থনৈতিক চাপ মোকাবেলার পরিকল্পনা। বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে জনগণের মধ্যে যে উদ্বেগ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে, তার প্রেক্ষিতে সরকার ব্যয়ের ভার লাঘব করতে বিভিন্ন খাতে কৃচ্ছ্রসাধন নীতি গ্রহণ করেছে।


রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ প্রসঙ্গেও তিনি বক্তব্য রাখেন। চলমান রাজনৈতিক আন্দোলনের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “রাষ্ট্রপতি পদত্যাগের বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে। সাংবিধানিক সংকট এড়াতে আমরা সতর্কভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছি।”


এ ঘোষণাটি আসার পর থেকেই হজে যাওয়ার ইচ্ছুকদের মধ্যে আলোচনা চলছে, বিশেষ করে সরকারি সহায়তা ছাড়া হজের খরচ বহন করা কতটা সম্ভবপর হবে তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে, রাজনৈতিক অঙ্গনে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবি ও এর সাংবিধানিক প্রভাব নিয়েও তুমুল আলোচনা চলছে।