হিলিতে কমেছে চালের দাম, ক্রেতা সংকটে ব্যবসায়ীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
গোলাম রব্বানী, উপজেলা প্রতিনিধি হিলি (দিনাজপুর)
প্রকাশিত: রবিবার ৬ই ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৫:৫৬ অপরাহ্ন
হিলিতে কমেছে চালের দাম, ক্রেতা সংকটে ব্যবসায়ীরা

সরকারি ভাবে খোলা বাজারে কম দামে চাল বিক্রির প্রভাবে দিনাজপুরের হিলিতে কমেছে মোটা জাতের চালের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে প্রতিকেজি চালের দাম কেজিতে কমেছে ২ থেকে ৩ টাকা। দাম কমায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে। তবে দাম কমলেও বাজারে বেচা-কেনা না থাকায় বিপাকে ব্যবসায়ীরা।


রবিবার(৬ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে হিলিতে চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, চাল নিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা। তবে ক্রেতা সমাগম তেমন একটা না থাকায় বসে বসে সময় কাটছে তাদের। এদিকে প্রতিকেজি মোটা জাতের চালের দাম কমেছে কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া স্বর্ণা-৫ জাতের চাল কেজিতে ৩ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৩৭ টাকা কেজি দরে। অন্যদিকে গুটি স্বর্ণা (হাইব্রীড) জাতের চাল কেজিতে ৩ টাকা কমে ৩৬ টাকা কেজির চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৩ টাকা কেজি দরে।

 

হিলি বাজারে চাল কিনতে আসা সুজাউল  ও জুয়েল রানা বলেন, হিলি বাজারে চালের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে। প্রকারভেদে কেজিতে ৩ টাকাও কমেছে অনেক চালে। এরকম চালের দাম কম থাকলে আমাদের জন্য ভালো। 


হিলি বাজারে চাল নিতে আসা রিকশা চালক বেলাল হোসেন বলেন, সারাদিন রিকশা চালিয়ে যা আয় হয় তা দিয়ে চাল ডাল কিনে কোন রকমে সংসার চালায়। আজ বাজারে চাল নিতে এসে দেখি চালের দাম কিছুটা কমেছে। এতে আমাদের মতো নিন্ম আয়ের মানুষ জন্য স্বস্তি ফিরে এসেছে।


হিলি বাজারের খুচরা বিক্রেতা অনুপ কুমার বসাক বলেন, সরকার খোলা বাজারে কম দামে চাল বিক্রি করতিছে যে কারনে আমাদের হিলি বাজারে চালের বেচাকেনা কম। যেখানে আগে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ বস্তা চাল বিক্রি করতাম সেখানে বর্তমানে ৫ থেকে ৭ বস্তা চাল বিক্রি করতে আমাদের হিমসিম খেতে হচ্ছে। 


হিলি বাজারের পাইকারী ব্যবসায়ী (ডিলার) বাবুল হোসেন বলেন, সরকার খোলা বাজারে কম দামে চাল বিক্রির কারনে হিলি বাজারে সব চালের দাম কমেছে। চালের দাম কমলেও বাজারে ক্রেতা নেই। ৪০ টাকা কেজির চাল এখন ৩৬/৩৭ টাকা বিক্রি হচ্ছে তাও ক্রেতা নেই। বেচা-কেনা অনেক কমেছে আমাদের।