প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৫, ১৩:৫
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম। তার মতে, এক সময় যিনি রাষ্ট্রশক্তির নির্যাতন সহ্য করেও মুখপাত্র হিসেবে বিএনপির সাহসী বার্তা পৌঁছে দিয়েছিলেন, আজ তাকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে।
রোববার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি দীর্ঘ পোস্টে সালাহউদ্দিন আহমেদের রাজনৈতিক ভূমিকার কথা তুলে ধরেন শফিকুল আলম। তিনি লেখেন, ২০১৫ সালের আগে থেকেই সালাহউদ্দিন গোপন অবস্থান থেকে দলের মুখপাত্র হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন, যখন বিএনপির ওপর চলছে কঠোর দমনপীড়ন।
সেই সময় খালেদা জিয়া গুলশানের কার্যালয়ে কার্যত গৃহবন্দি ছিলেন, দলের অনেক শীর্ষ নেতা ছিলেন আত্মগোপনে বা গ্রেপ্তারকৃত। ঠিক তখনই সালাহউদ্দিনের লেখা বিবৃতিগুলো হয়ে ওঠে বিএনপির কণ্ঠস্বর। শফিকুল বলেন, সেই বিবৃতিগুলো ছিল তীক্ষ্ণ, সুগঠিত এবং সাহসিকতায় ভরপুর।
তিনি জানান, ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির পক্ষ থেকে তিনি এবং তার সহকর্মী খালেদা জিয়ার সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে বুঝতে পেরেছিলেন সরকারের দমননীতির মাত্রা কতটা প্রবল ছিল। সেই সময় সালাহউদ্দিনের পাঠানো বিবৃতিগুলোই রাজনৈতিক প্রতিবাদের ভাষা হয়ে উঠেছিল।
সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে সরকারের ক্ষোভ এতটাই তীব্র হয় যে, শেখ হাসিনা তার বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড়ের নির্দেশ দেন বলে দাবি করেন শফিকুল। অবশেষে ২০১৫ সালের শুরুতে তিনি অপহৃত হন এবং নিখোঁজ থাকেন দীর্ঘদিন।
তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ এই সময়ে একজন সাহসী প্রতিবাদী নারীর প্রতিকৃতি হয়ে ওঠেন। তার লড়াই ছিল অবিচল, যা ‘মায়ের ডাক’ আন্দোলনের মতই রাষ্ট্রশক্তির বিরুদ্ধে এক প্রতিরোধের গল্প।
শফিকুল আলম মনে করিয়ে দেন, আজকের অনেক তরুণ বিএনপি কর্মী সেই প্রতিরোধের ইতিহাস ভুলে গেছেন। অথচ এই সাহসী প্রতিবাদগুলোই ছিল স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে সবচেয়ে জোরালো চ্যালেঞ্জ।
তিনি বলেন, আজ যখন সালাহউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, তখন আমাদের তার সাহসিকতা, সংগ্রাম ও অবদানের কথা ভুলে গেলে চলবে না। কারণ ইতিহাসের এই অধ্যায়গুলো ভুলে যাওয়া মানেই গণতন্ত্রের লড়াই ভুলে যাওয়া।