প্রকাশ: ২০ মে ২০২৫, ১০:৫৯
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই তার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী ফ্লাইটে ইঞ্জিনে আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার সকালে ঘটে যাওয়া এই আতঙ্কজনক পরিস্থিতিতে পাইলট দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে জরুরি অবতরণ করেন। ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় প্লেনটি ও তার ভেতরে থাকা শত শত যাত্রী।
জানা যায়, ফ্লাইট নম্বর TK713 (এয়ারবাস A330-303) সকাল ৭টার দিকে ইস্তাম্বুলের উদ্দেশে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা দেয়। যাত্রী সংখ্যা ছিল ২৯১ জন, যার মধ্যে পাঁচটি শিশু ও ১১ জন ক্রু সদস্যও ছিলেন। উড্ডয়নের মাত্র ১৫ মিনিটের মাথায় পাইলট একটি ইঞ্জিনে স্পার্ক লক্ষ্য করেন, যা তাৎক্ষণিক বার্ড হিটের কারণে হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ঘটনার পর পাইলট দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে আকাশে ঘোরাঘুরি করে জ্বালানি কমিয়ে আনেন এবং সোয়া ৮টার দিকে প্লেনটি জরুরি অবতরণে সক্ষম হয়। পাইলটের এই দক্ষতা ও দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রাণে বাঁচেন সকল যাত্রী ও ক্রু।
শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এসএম রাগীব সামাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পাইলট ইঞ্জিনে স্পার্ক দেখতে পেয়েই বিমানবন্দরে ফিরে আসেন। প্রাথমিকভাবে বার্ড হিটের বিষয়টি অনুমান করা হচ্ছে। যাত্রীদের সবাই নিরাপদে আছেন এবং প্লেনটি সফলভাবে অবতরণ করেছে।
বিমানবন্দর সূত্র জানিয়েছে, অবতরণের পর যাত্রীদের প্লেন থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় এবং তাদের হোটেলে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ। প্লেনটির ইঞ্জিন-২ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেটি মেরামতের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
তুরস্কের তার্কিশ এয়ারলাইন্স এক বিবৃতিতে জানায়, এই ঘটনা একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত হলেও পাইলট ও ক্রুদের দক্ষতায় কোনো প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। যাত্রীদের আরাম নিশ্চিত করতে নিকটস্থ হোটেলগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই স্মরণ করিয়ে দেয় আরও একটি সাম্প্রতিক ঘটনা। গত ১৬ মে কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটের ল্যান্ডিং গিয়ারের চাকা খুলে পড়ে যায় মাঝ আকাশে। তবে সেদিনও পাইলটের দক্ষতায় ফ্লাইটটি নিরাপদে অবতরণ করতে সক্ষম হয়।