সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টা, সোমালিয়ার নাগরিক আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক
জাহিরুল ইসলাম মিলন
প্রকাশিত: শনিবার ২২শে মার্চ ২০২৫ ১২:৪৭ অপরাহ্ন
সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টা, সোমালিয়ার নাগরিক আটক

ফেনীর পরশুরাম সীমান্তে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টাকালে সোমালিয়ার এক নাগরিককে আটক করেছে বিজিবি। শনিবার সকালে পরশুরামের নিজকালিকাপুর সীমান্ত থেকে আবদেয়ালি মোহাম্মদ আলী নামের ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। বিজিবি সূত্রে জানা যায়, তিনি ভিসা ছাড়াই ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন।  


নিজকালিকা বিওপির টহল দল সীমান্ত পিলার ২১৫৯/৩ এস এর কাছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ১৫০ গজ দূরে তাকে আটক করে। বিজিবি-৪ ফেনী ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মোশারফ হোসেন বলেন, সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি সজাগ রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে আটক করা হয়েছে।  


আটককৃত আবদেয়ালি মোহাম্মদ আলীকে ফেনীর পরশুরাম মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। বিজিবি বলছে, সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধে কঠোর নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। এর আগেও একই সীমান্ত থেকে বেশ কয়েকজন বিদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছিল।  


গত ১৯ মার্চ ফেনীর নিজকালিকাপুর সীমান্ত থেকে একজন নাইজেরিয়ান নাগরিককে আটক করা হয়। এর কিছুদিন আগে সুদানের এক নারী ও জাম্বিয়ার এক নাগরিককেও একই সীমান্ত থেকে আটক করা হয়েছিল। বিজিবি বলছে, সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের তালিকা দিন দিন বাড়ছে, যা নিরাপত্তার জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।  


বিজিবি সূত্রে জানা যায়, সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করতে টহল ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোশারফ হোসেন বলেন, সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধে বিজিবি সর্বদা সক্রিয় রয়েছে। তিনি আরও বলেন, সীমান্ত এলাকায় স্থানীয় জনগণের সহযোগিতাও এই কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।  


স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালানের ঘটনা নিয়মিত ঘটছে। তারা বিজিবির সতর্কতা ও পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তবে তারা আরও কঠোর নজরদারি ও নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।  


বিজিবি বলছে, আটককৃত বিদেশি নাগরিকদের আইনানুগ প্রক্রিয়ায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা বাড়ায় বিজিবি আরও সতর্কতা অবলম্বন করছে। স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সাথে সমন্বয় করে সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে।  


বিজিবির এই সক্রিয়তা সীমান্তে অবৈধ কার্যকলাপ রোধে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। তবে তারা দাবি করেছেন, সীমান্ত এলাকায় আরও উন্নয়নমূলক কাজ ও নিরাপত্তা বাড়ানো প্রয়োজন। বিজিবি বলছে, তারা সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।