আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এককভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলের নেতারা জানিয়েছেন, তারা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট গঠন করবে না। তারা দাবি করেছেন, এনসিপি ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার সক্ষমতা রাখে এবং দলের নিবন্ধন পেতে ঈদের পর নির্বাচন কমিশনে আবেদন করা হবে।
আজ বুধবার, একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকালে এনসিপির নেতারা এ তথ্য জানিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য ঈদের পর নির্বাচন কমিশনে আবেদন করা হবে। তবে দলের প্রতীক এখনও চূড়ান্ত হয়নি, এবং সবার সঙ্গে পরামর্শ করে দলীয় ফোরামে আলোচনার পর প্রতীক নির্ধারণ করা হবে।
এনসিপির নেতারা জানিয়েছেন, তারা আগামী জাতীয় নির্বাচনে কারো সঙ্গে কোনো জোট করবে না, তবে ছোট রাজনৈতিক দলগুলোকে এনসিপির সঙ্গে জোট গঠনের জন্য আলোচনার সুযোগ দেয়া হবে। দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, "এনসিপি আগামী নির্বাচনে এককভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে এবং আমরা আমাদের দলের নিবন্ধন ঈদের পরই নির্বাচন কমিশনে জমা দেব।"
এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন জানিয়েছেন, দলটি তরুণদের নেতৃত্বে গঠিত এবং তাদের লক্ষ্য আগামী জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়া। দলের কার্যক্রম বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের লক্ষ্য হলো সারা দেশে দলের কর্মসূচি আরও বিস্তৃত করা। "আমরা তরুণদের জন্য একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে চাই," বলেন সামান্তা শারমিন।
এনসিপি জানিয়েছে, তারা ভোটারদের মধ্যে তাদের রাজনৈতিক অবস্থান পরিষ্কার করতে এবং নতুন প্রজন্মের কাছে নিজেদের চিন্তা-ধারা পৌঁছানোর জন্য সারা দেশে কার্যক্রম বাড়াবে। দলটি বিশ্বাস করে যে, তরুণদের সমর্থনে তারা এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হবে।
এনসিপির নেতা ও সদস্যরা এ বিষয়টি নিয়ে বেশ আশাবাদী এবং তাদের মতে, এককভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তারা দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে চায়।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।