খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলায় উৎসবমুখর পরিবেশে চতুষ প্রহরব্যাপী মহোৎসব ও সরস্বতী পূজা উদযাপিত হয়েছে। পাইয়্যং কার্বারী পাড়ার লক্ষী নারায়ন মন্দির প্রাঙ্গনে ত্রিপুরা ও সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এই মহোৎসব ও পূজার আয়োজন করেন।
প্রতি বছর মাঘ মাসের শুক্ল পক্ষের পঞ্চমী তিথিতে বিদ্যাদেবী সরস্বতীর বন্দনা এবং পূজা-অর্চণা অনুষ্ঠিত হয়। সরস্বতী দেবীকে জ্ঞান, বিদ্যা, বুদ্ধি, সিদ্ধি, মোক্ষ এবং শক্তির অধিকারী হিসেবে পূজা করা হয়। এবারও মাঘ মাসের পঞ্চমী তিথিতে একই উদ্দেশ্যে পূজার আয়োজন করা হয়।
মহোৎসব উদযাপন কমিটির সভাপতি শিবুজয় ত্রিপুরা ও সাধারণ সম্পাদক কুঞ্জ মোহন ত্রিপুরা জানান, রবিবার সকাল ৯টা ৪৪ মিনিটে শুক্ল পক্ষের পঞ্চমী তিথির মধ্য দিয়ে সরস্বতী দেবীর আরাধনা শুরু হয়। সোমবার সকাল ১০টা ২৭ মিনিটে পূজা-অর্চণা শেষ হয়। এদিন চতুষ প্রহরব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়, যার মধ্যে ছিল গঙ্গা আহবান, সন্ধ্যা বাতি ও তুলসি আরতি, মহা হরিনামযজ্ঞের শুভ অধিবাস কীর্তন, শ্রী শ্রী মহানামযজ্ঞের শুভারম্ভ, মহা প্রভুর ভোগ আরতি, মহাপ্রসাদ বিতরণ এবং মহা হরিনাম সংকীর্তনের পূর্ণাহুতি।
মহোৎসবের অর্থ সম্পাদক মানজয় ত্রিপুরা জানান, "আমরা প্রতিবছর এই দিনে বিদ্যা, বুদ্ধি এবং জ্ঞান লাভের জন্য মা সরস্বতীর পূজা করি। আমাদের প্রার্থনা থাকে, যাতে আমরা জ্ঞান ও গুণে ভালো মানুষ হয়ে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারি।"
এছাড়াও, মহোৎসবে পুরোহিত হিসেবে সেবা প্রদান করেন সুজন দাস বৈষ্ণব, খীর দাস বৈষ্ণব, এবং নামসুধা বিতরণে অংশ নেন খাগড়াছড়ি সদরের ঠাকুরছড়ার শ্রী শ্রী জয় সনাতন সম্প্রদায়, শ্রী শ্রী বিজয় কৃষ্ণ সম্প্রদায় ও শ্রী শ্রী কৃষ্ণ গোপাল সম্প্রদায়।
মহোৎসবের আয়োজন ছিল বর্ণিল এবং শান্তিপূর্ণ, যেখানে ধর্মীয় উৎসাহ ও ঐক্য প্রকাশ পেয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মন্ত্রোচ্চারণ, কীর্তন এবং অন্যান্য ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে পূজার আদর্শ অনুসরণ করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।