নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় খাল দখল এবং মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে যুবদল নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। নিহত যুবদল নেতা মো. ইউনুস আলী (৪০), যিনি চরফকিরা ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন, মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) রাতে চট্টগ্রামে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইউনুস আলী উপজেলার গুচ্ছ গ্রাম এলাকায় খাল দখল নিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধে জড়িয়ে ছিলেন। গত ৫ আগস্ট, মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী খালটির ইজারা নিয়ে যুবদল নেতা ইউনুস আলী এবং তার পরিবারকে বাধাগ্রস্ত করতে শুরু করেন। পরবর্তীতে, স্থানীয় বিএনপি নেতা শাহজাহান ও তার ভাই বাবরের নেতৃত্বে কয়েকজন বিএনপি সমর্থক খালটি দখল করার জন্য অস্থির হয়ে ওঠেন।
বৃহস্পতিবার সকালে, ইউনুস আলী ও তার পরিবারের সদস্যরা খাল দখল নিয়ে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে গিয়ে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে স্থানীয় নেজাম, সুজন, জাবেদসহ কয়েকজন যুবক ইউনুস আলীকে তলপেটে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় আহত ইউনুস আলীকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়, পরে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবশেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম নেওয়ার পথে ফেনীতে তার মৃত্যু ঘটে।
এ ঘটনার পর নিহতের পরিবার অভিযোগ করেন, খাল দখল ও মাছ ধরার বিরোধে মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহজাহান এবং তার ছোট ভাই মানছুরুল হক বাবর হত্যাকাণ্ডের পেছনে উসকানি দিয়েছেন। নিহতের ভগ্নিপতি জয়নাল আবেদীন আলমগীর বলেন, "এ হত্যাকাণ্ড রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের ফল। শাহজাহান ও বাবর আমাদের উপর ক্ষিপ্ত ছিল এবং তারা খাল দখলকে কেন্দ্র করে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন।"
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।