ভারত থেকে আমদানির খবরে কমেছে দেশি পেঁয়াজের দাম

হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা কয়েকজন ভোক্তা অভিযোগ করে বলেন, দেশের মধ্যেই প্রচুর পরিমাণ পেঁয়াজ মজুত থাকা সত্ত্বেও কিছু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে দেয়। এতে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটি কিনতে সাধারণ মানুষকে বেশি দাম গুনতে হয়। তারা চান বাজারে নিয়মিত মনিটরিং করা হোক, যাতে খুচরা দামে স্থিতিশীলতা আসে। তাদের দাবি, দেশি পেঁয়াজ ৫০–৬০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৩০ টাকা হলে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে।

হিলি বাজারের ব্যবসায়ী শাকিল আহমেদ জানান, ভারত থেকে আমদানির খবর ছড়িয়ে পড়ার পর দেশের মোকামে পেঁয়াজের দাম কমেছে। ফলে তারা কম দামে পণ্য কিনে খুচরা বাজারেও কম দামে বিক্রি করছেন। বর্তমানে হিলিতে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজিতে।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সীমিত পরিসরে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে। প্রতিদিন ৫০ জন আমদানিকারক আইপি পাবেন এবং একজন আমদানিকারক ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন। তার দাবি, আইপি উন্মুক্ত করে দিলে দেশের বাজারে দাম আরও কমে আসবে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩০ আগস্ট থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরের পরই আমদানি পুনরায় শুরু হতে পারে বলে প্রত্যাশা করছেন ব্যবসায়ীরা।