ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কাঁচেরকোল ইউনিয়নের উত্তর কচুয়া গ্রামের এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এঘটনায় কিশোরীর মা জোসনা খাতুন বাদী হয়ে শৈলকুপা থানায় ৪ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা রজু হওয়ার ২ ঘন্টার মধ্যে ৩ জন আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ ।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, শুক্রবার খন্দকবাড়িয়া সংলগ্ন উত্তর কচুয়া গ্রামের মৃত কানু হাজীর ছেলে এনামুলের বাড়িতে বিয়ের দাবীতে অনশন করে উত্তর কচুয়া গ্রামের মৃত ঝড়ো লস্কারের কিশোরী মেয়ে (১৬)। ধর্ষণের শিকার কিশোরী জানায়, এনামুল এর সাথে ৬ মাস ধরে তার প্রেমের সম্পর্ক চলছিল।
বৃহস্পতিবার রাতে এনামুল তাকে ফোন করে বাড়ির বাহিরে আসতে বলে,সে বাহির আসলে প্রথমে এনামুল তাকে টেনে হিঁচড়ে বাড়ির পাশে ধান ক্ষেতে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে করে। এসময় উত্তর কচুয়া গ্রামের রইচ বিশ্বাস ওই মুহুর্তের ভিডিও ধারণ করে এবং কামাল বিশ্বাসের ছেলে মাসুদ বিশ্বাস ও রশিদ মন্ডলের ছেলে হাবিবুর রহমানকে ফোনের মাধ্যমে ডেকে নিয়ে আসে।
পরে রইচ এর সহযোগিতায় ও পাহারায় তাকে গণধর্ষণ করে। ধর্ষণের ঘটনা কাউকে না বলতে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এলাকাবাসী জানায়, ধর্ষণ ঘটনার পরের দিন এনামুল এর বাড়িতে বিয়ের দাবীতে অনশন করে ওই কিশোরী। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে শালিশ মিমাংসা করার চেষ্টা করে উত্তর কচুয়া গ্রামের শরিফুল মেম্বার ও খন্দকবাড়ীয়া গ্রামের সামাজিক মাতব্বররা। সামাজিক মাতব্বররা মেয়েটি বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়ে আসে।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় সংবাদ প্রচার হলে বিষয়টি নজরে আসে প্রশাসনের,শুরু হয় তদন্ত । তদন্তের এক পর্যায়ে বেরিয়ে আসে গণধর্ষণের চাঞ্চল্যকর তথ্য।