জয়পুরহাটে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটরের ওপর ইউপি মেম্বারের হামলা!

প্রতিবেদনে বলা হয়, সাইদারের ওপর হামলা চালানো হয় রড ও লাঠি দিয়ে। একপর্যায়ে তাকে টেনে অফিস রুমে নিয়ে এসে পুনরায় মারধর করা হয়। পরে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করান।

পাঁচবিবি থানায় এ ঘটনায় একটি এজাহার দায়ের করেন সাইদারের স্ত্রী সাবিহা সুলতানা। মামলার ২ নং আসামী রাকিবুল ইসলামকে (২১) আটক করা হয়েছে, কিন্তু প্রধান আসামী শফিকুল ইসলাম (৪২) পলাতক রয়েছেন।

রাতের আঁধারে ও পরিবারের ওপর হুমকি দিয়ে চাঁদার দাবি জানানো হয়। প্রধান শিক্ষক ফজলে এলাহী মন্ডল জানান, হামলাকারীরা স্কুলে প্রবেশ করে সাইদারকে মারধর করে এবং অফিসে নিয়ে গিয়ে আবারও আক্রান্ত করে। শিক্ষক ও অন্যান্য স্টাফ বাধা দেওয়ায় অভিযুক্তরা চলে যায়। প্রধান শিক্ষক হামলাকারীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

পাঁচবিবি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ময়নুল ইসলাম বলেন, “মামলার তদন্ত চলছে। ২ নং আসামীকে আটক করা হয়েছে। পলাতক আসামীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এ ঘটনায় স্থানীয় জনগণ ও শিক্ষকরা হতবাক। তারা স্কুলে নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।

এই হামলা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মক্ষেত্রে সহিংসতার ঘটনা হিসেবে ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। স্থানীয়রা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে এমন ঘটনা পুনরায় ঘটতে পারে।