খেলাপি ঋণে দেশের ব্যাংকিং খাতের ঝুঁকি বাড়ার আশঙ্কা

বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, সেপ্টেম্বর মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৮.৩৬ শতাংশে। আইএমএফ এই প্রবণতাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও মনে করছে, স্থায়ীভাবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কঠোরতা শিথিল করা যাবে না। সংস্থাটি আরও জানতে চায়, দীর্ঘমেয়াদে এই নীতি বিনিয়োগ প্রবাহে প্রভাব ফেলতে পারে কি না এবং সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিকল্পনা কী।

আইএমএফ বলেছে, মুদ্রানীতির কার্যকারিতা বাড়াতে সুদের হার নির্ধারণের পদ্ধতিকে বাজারনির্ভর কাঠামোয় আনতে হবে। বর্তমানে ব্যাংক খাতে তারল্য ব্যবস্থাপনা, সুদের হার সীমা ও আর্থিক প্রবাহ পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নেয় প্রতিনিধিদল।

এ ছাড়া সভায় রিজার্ভ ব্যবহারের বিষয়েও আলোচনা হয়। রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) গঠনে রিজার্ভ থেকে অর্থ ব্যবহারের বিষয়ে উদ্বেগ জানায় আইএমএফ। তারা মনে করে, রিজার্ভের ব্যবহার কৌশলগত ও সীমিত হওয়া প্রয়োজন।

বাংলাদেশ ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে আইএমএফের সঙ্গে ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তি করে, যা পরবর্তীতে বাড়িয়ে ৫.৫ বিলিয়ন ডলার করা হয়। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ পাঁচ কিস্তিতে ৩.৬৪ বিলিয়ন ডলার পেয়েছে। তবে ষষ্ঠ কিস্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। আইএমএফ জানতে চায়—আগামী জাতীয় নির্বাচনের পরও সংস্কার কর্মসূচি কি যথারীতি চালু থাকবে।

আইএমএফের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ক্রিস পাপাজর্জিও এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন ডেপুটি গভর্নর ড. হাবিবুর রহমান। চলমান রিভিউ মিশন ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে অবস্থান করবে।