ধীরগতির প্রকল্পে চরম ভোগান্তি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দীর্ঘদিন ধরে চলা উন্নয়ন প্রকল্পের ধীরগতি, খানাখন্দ, যানজট ও দুর্ঘটনার কারণে সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। দেশের অন্যতম ব্যস্ততম এই মহাসড়ককে পুলিশ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো শীর্ষ দুর্ঘটনাপ্রবণ সড়ক হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ভারী বৃষ্টিপাতের পর সড়কে তৈরি হওয়া খানাখন্দ প্রায়ই যানজট সৃষ্টি করছে।

যাত্রী ও পরিবহন চালকদের অভিযোগ, নতুন সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হলেও তা অত্যন্ত ধীরগতিতে চলছে। এতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে প্রচণ্ড গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মহাসড়কে আটকে পড়া অসহ্য হয়ে উঠেছে। অনেকে বলেছেন, দ্রুত রাস্তার কাজ শেষ করা না হলে এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি মিলবে না।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কটি রাজধানী থেকে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রবেশদ্বার। প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী ও বিপুল পণ্যবাহী ট্রাক এই মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করে। কিন্তু সড়কের বর্তমান অবস্থা তাদের জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চান্দুরা এলাকায় সাম্প্রতিক অবরোধের কারণে প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকায় যানবাহন আটকা পড়ে যায়। এতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ দ্বিগুণ হয়।

এ বিষয়ে যাত্রী মাহিম বলেন, “ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থেকে আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। সরকারের উচিত জনগণের দুর্ভোগ কমানোকে অগ্রাধিকার দেওয়া।”

ট্রাকচালক আবুল কুদ্দুস বলেন, “ঢাকা থেকে মাল নিয়ে হবিগঞ্জে যাচ্ছিলাম। কিন্তু দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে মহাসড়কে আটকে আছি। জানি না কবে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবো।”

যাত্রীদের দাবি, দ্রুত সড়ক নির্মাণের কাজ শেষ করা এবং অবরোধের মতো কর্মসূচি মহাসড়কে না করা—এই দুই পদক্ষেপই তাদের দুর্ভোগ অনেকটা কমাতে পারে।