দেবীদ্বারে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বে হাসপাতালেই ময়লার ভাগাড়, চরম দুর্ভোগ

শনিবার (১ নভেম্বর) বিকেলে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের দক্ষিণ পাশে আবাসিক মেডিকেল অফিসারদের চলাচলের সড়কের পাশে উন্মুক্ত স্থানে বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য স্তূপাকারে ফেলা হয়েছে। ময়লার স্তুপে প্লাস্টিক, খাবারের উচ্ছিষ্ট, ইনজেকশনের খালি সিরিঞ্জ, মেডিকেল বর্জ্যসহ নানা আবর্জনা দেখা গেছে। এগুলো থেকে নির্গত বিষাক্ত গন্ধ বাতাসে মিশে চারপাশের পরিবেশকে আরও দূষিত করছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কয়েকদিন আগে পর্যন্ত হাসপাতালে নির্দিষ্ট স্থানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা হতো। কিন্তু সম্প্রতি হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মহিবুস সালাম খান এবং ডিপ্লোমা চিকিৎসক কুহিনূর এর চিকিৎসা কার্যক্রম নিয়ে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের কারণে ইচ্ছাকৃতভাবে এই উন্মুক্ত স্থানে ময়লা ফেলা শুরু হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, কুহিনূর হাসপাতালের সীমানা লাগোয়া বাড়িতে ভাড়া থাকেন এবং সেখানে রোগীদের চিকিৎসা দেন। এ কারণে বিরোধের জেরে ওই বাড়ির পথের সামনে ময়লার ভাগাড় তৈরি করা হয়েছে।

নিজের নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের এক স্টাফ বলেন, ‘দালালদের মাধ্যমে রোগী বাগিয়ে বাইরে চিকিৎসা দেওয়ায় হাসপাতালের কর্মকর্তারা ক্ষুব্ধ। তাই ইচ্ছা করেই এখানে ময়লা ফেলা হচ্ছে।’

বাড়ির মালিক সফিউল্লাহ মানিক বলেন, ‘আমরা পরিবার নিয়ে এখানে থাকতে পারছি না। বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এটা ব্যক্তিগত বিরোধের জের। প্রশাসন যদি ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে সাধারণ মানুষ ভুগবে।’

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মহিবুস সালাম খানের কাছে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি। পরে আরেক সাংবাদিককে জানান, তিনি ‘ব্যস্ত’ আছেন।

স্থানীয় সচেতন মহল বলছে, সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের অনিয়ম ও দুর্ব্যবহার জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।