প্রকাশ: ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:৫৩
কুয়াকাটা পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব নেছার উদ্দিন হাওলাদার জমির বায়না টাকা ফেরত নেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের চাপে পড়েছেন। অভিযোগ ওঠে, তিনি জোরপূর্বক ৩০ লাখ টাকার চেক নিয়েছেন। তবে অভিযোগকারীর পরিবার সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছে, এটি একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।
মঙ্গলবার সকালে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মুসুল্লীয়াবাদ গ্রামে অভিযোগকারীর পিতা মোস্তফা আকন সংবাদ সম্মেলনে জানান, নেছার উদ্দিনের সঙ্গে জমি কেনাবেচার চুক্তি ছিল এবং দেনা-পাওনার বিষয়টি পরবর্তীতে সমাধান হয়েছে। তাই জোরপূর্বক চেক নেয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
ঘটনার সূত্রপাত হয় গত রবিবার। স্থানীয় কিছু গণমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে যে নেছার উদ্দিন ৩০ লাখ টাকার চেক হাতিয়ে নিয়েছেন। এ সময় একটি ভিডিও ক্লিপও ছড়িয়ে দেওয়া হয় যেখানে কুয়াকাটা পৌর বিএনপির এক নেতা আলাউদ্দিন ঘরামীর কণ্ঠ শোনা যায়। তবে তিনি দাবি করেছেন ভিডিওটি তিনি সরবরাহ করেননি।
নেছার উদ্দিন জানান, ২০২৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর লতাচাপলী মৌজায় ১৫ শতক জমি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকায় ক্রয়ের চুক্তি হয়। পরবর্তীতে ৩৬ লাখ টাকা পরিশোধ করা হলেও জমিটি অন্যত্র বিক্রি করে দেন দাতা মোস্তফা আকন। ক্ষতিপূরণ হিসেবে তিনি নগদ ৫ লাখ টাকা ফেরত দেন এবং অবশিষ্ট টাকার জন্য একটি চেক দেন।
কিন্তু মোস্তফা আকনের ছেলে হালিম আকন পরবর্তীতে ব্যাংকে আবেদন করে চেকটি স্থগিত করেন। তখন একটি মহল হালিমকে ব্যবহার করে মিথ্যা ভিডিও তৈরি করে ছড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ নেছার উদ্দিনের। পরে মোস্তফা আকন নিজেই ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে দেন এবং চেকটি ফেরত নেন।
সংবাদ সম্মেলনে মোস্তফা আকন বলেন, নেছার উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগটি ভিত্তিহীন। তাদের দেনা-পাওনার বিষয় সমাধান হয়ে গেছে এবং কোন জোরপূর্বক ঘটনা ঘটেনি।
ঘটনার পরও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা বিষয়টি ভাইরাল করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ ছাত্রদল নেতার। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নষ্ট করার চেষ্টা হচ্ছে।
কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান হাওলাদারও জানান, জমি লেনদেনের বিষয়টি সমাধান হয়েছে এবং অভিযোগটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। তিনি অপরাজনীতির বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।