প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৬:৪৯
খাগড়াছড়ির রামগড় পৌরসভায় ঘটেছে এক মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড যা কাঁপিয়ে দিয়েছে পুরো এলাকা। একই পরিবারের ফুফু ও দাদীকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, পারিবারিক কলহ ও টাকার জন্য অপমানিত হওয়ার জেরে নাতিই এই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত।
পুলিশ জানায়, ২০ আগস্ট রাত থেকে ২১ আগস্ট ভোরের মধ্যে রামগড় পৌরসভার পূর্ব বাগান টিলায় নিজ ঘরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহতরা হলেন আমেনা খাতুন (৮৮) ও তার মেয়ে রাহেনা আক্তার (৪০)। ঘটনার পর নিহত রাহেনার ছেলে মো. হাসান (২০) বাদী হয়ে রামগড় থানায় মামলা করেন। মামলায় দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারা যুক্ত করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, আসামি সাইফুল ইসলাম (৩৫) ঘটনার দিন রাতে দাদীর বাড়িতে আসে এবং টাকা দাবি করে। ভিকটিমরা তাকে গালমন্দ করায় ক্ষুব্ধ হয়ে সে হত্যার পরিকল্পনা করে। গভীর রাতে দাদীর ঘরে থাকা দা নিয়ে প্রথমে রাহেনার গলায় কোপ দেয় এবং পরে আমেনা খাতুনকে হত্যা করে।
হত্যার পর আসামি রাহেনার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে চট্টগ্রামের ভুজপুরের ইসলামপুর বাজারে মোবাইলটি ৪০০ টাকায় বিক্রি করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হত্যার দা উদ্ধার করেছে এবং মোবাইল বিক্রির প্রমাণও পেয়েছে।
সাইফুল ইসলামের বাড়ি ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার উত্তর কুহুমা দারোগাছড়া গ্রামে হলেও সে ভুজপুর থানার পূর্ব শিকদারখীল এলাকায় কেয়ারটেকার হিসেবে বসবাস করছিল। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ডে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা এমন নৃশংস ঘটনার দোষীর কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।