প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৫, ১৭:৪৩
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
বরিশালের হিজলা উপজেলায় সোমবার (১৮ আগস্ট) জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি ও সরকারি পুকুরে দেশীয় প্রজাতির পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়েছে। এবারের প্রতিপাদ্য “অভয়াশ্রম গড়ে তুলি, দেশি মাছে দেশ ভরি” এর মাধ্যমে দেশীয় মাছ সংরক্ষণ ও মৎস্য উৎপাদনের প্রতি জনগণকে সচেতন করার চেষ্টা করা হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ হলরুমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইলিয়াস সিকদার। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মৎস্য উৎপাদন এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ, তবে দেশীয় প্রজাতির মাছ সংরক্ষণে মৎস্য চাষিদের আরও মনোযোগী হওয়া জরুরি। তিনি আরও বলেন, মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয় এবং সামুদ্রিক মাছ আহরণে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোহাম্মদ আলম, উপজেলা কৃষি অফিসার আহসানুল হাবীব আল আজাদ জনি, হিজলা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আমিনুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার শাহীন আফ্রিদি, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মহিউদ্দিন, হিজলা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ গৌতম চন্দ্র মন্ডল সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও মৎস্যজীবী নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথি মোঃ ইলিয়াস সিকদার বলেন, জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে মৎস্য সম্পদের স্থায়িত্বশীল ব্যবহারের পাশাপাশি পুকুর ও জলাশয়ের মৎস্য চাষে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এছাড়াও সপ্তাহজুড়ে সংশ্লিষ্ট অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রয়োজনীয় উপকরণ বিতরণ করা হবে, যা চাষিদের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
সভায় বক্তারা দেশীয় মাছ সংরক্ষণে অভয়াশ্রমের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। তারা বলেন, মৎস্য সম্পদের নিরাপদ চাষ ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে সচেতনতা বৃদ্ধি করা অপরিহার্য। পোনা মাছ অবমুক্তকরণের মাধ্যমে স্থানীয় জলাশয়ে দেশীয় প্রজাতির মাছের সংখ্যা বাড়ানো হবে।
অনুষ্ঠানে ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী সমিতি, উপজেলা মহিলা দল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন এবং মৎস্য চাষিদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এতে চাষিরা উৎসাহিত হয়ে মৎস্য উৎপাদন ও সংরক্ষণে আরও মনোযোগী হবেন বলে প্রত্যাশা প্রকাশ করা হয়।
সভায় মৎস্যজীবী ও উদ্যোক্তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করা হয় এবং সরকারের নীতি ও নিয়মাবলী অনুসারে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এই ধরনের আলোচনা ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম মৎস্য চাষে নতুন দিকনির্দেশনা প্রদান করছে।
উপজেলার সকল অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করেন, জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের বিভিন্ন আয়োজন মৎস্য খাতকে আরও সমৃদ্ধ করবে এবং স্থানীয় জনগণকে দেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কার্যকরভাবে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করবে।