প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২৫, ১৮:১৩
খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলায় ৩ বিজিবির উদ্যোগে একটি ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা সম্প্রতি ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আয়োজন করা হয়। রবিবার (১৭ আগস্ট) দিনব্যাপী কচুছড়ি মুখ, তক্ষীরায় পাড়া ও সম্ভুরায় পাড়ার শতাধিক পাহাড়ি ও বাঙালি নারী-পুরুষ এবং শিশুরা এই ক্যাম্পে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেন। স্থানীয় জনগণ বিনামূল্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্যপরীক্ষা, ওষুধ বিতরণ এবং চিকিৎসা পরামর্শে অংশ নেন।
ক্যাম্পে ৩ বিজিবির মেডিকেল অফিসার ক্যাপ্টেন মোঃ নাঈমুল মুশফিক নাঈম রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা প্রদান করেন। লোগাং বিজিবি জোন অংশগ্রহণকারীদের বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করে এবং স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে। উপস্থিতরা জানান, ক্যাম্পটি পার্বত্যাঞ্চলের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য এক বড় সহায়তা।
লোগাং জোন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, পিপিএম বলেন, দেশের সীমান্ত সুরক্ষায় বিজিবি সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করছে। পাশাপাশি পার্বত্যাঞ্চলের জনগণের কল্যাণে জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও চলবে। তিনি আরও বলেন, এই ধরনের ক্যাম্প স্থানীয় মানুষের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এবং প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ক্যাম্প চলাকালে কচুছড়িমুখ ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার শফিকুল ইসলাম, স্থানীয় কার্বারী, সাংবাদিক ও উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন। তারা সকলেই ক্যাম্পের সুফল এবং সেবাভোগীদের আনন্দ প্রকাশ করেছেন। স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তদের মধ্যে অনেকেই বলেন, এই ধরনের উদ্যোগ পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
স্থানীয়রা আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতেও এই ধরনের ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প স্থায়ীভাবে চালু থাকবে, যাতে প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ সহজে চিকিৎসা সেবা পেতে পারে। তারা বলেন, সীমান্তবর্তী অঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবার অবস্থা উন্নত করতে বিজিবির এই প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়।
এই ক্যাম্পের মাধ্যমে পার্বত্যাঞ্চলের মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি পায় এবং প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় জনগণ ও বিজিবির মধ্যে সুসম্পর্কও দৃঢ় হয়। স্থানীয় স্কুল, পরিবার ও সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণ এই কার্যক্রমকে আরও কার্যকর করেছে।
জানা গেছে, ক্যাম্প চলাকালে শিশুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, সাধারণ রোগের চিকিৎসা এবং গর্ভবতী নারীদের পরামর্শ প্রদান করা হয়। এছাড়া, প্রাপ্ত ওষুধ বিতরণ ও স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক তথ্য প্রদান করা হয়। এই ধরনের উদ্যোগ পার্বত্যাঞ্চলের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে সুসংহত করতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।