দৌলতপুরে ৪৬ হাজার পরিবার পানিবন্দি, বিপন্ন কৃষক পরিবার

বন্যার কারণে চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ২১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। বিদ্যালয়গুলো এখন বন্যাকবলিতদের আশ্রয়ের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। স্থানীয়রা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। পাবনা ওয়াটার হাইড্রোলজি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, পদ্মায় পানি বিপৎসীমার নিচে মাত্র সামান্য উচ্চতায় প্রবাহিত হলেও দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে পদ্মার হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পাওয়া দেখা গেছে।

উপজেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, চিলমারী ইউনিয়নের ১৫ হাজার, রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ২০ হাজার, ফিলিপনগর ইউনিয়নের ১১ হাজার ও মরিচা ইউনিয়নের ২৫০ পরিবার পানিবন্দি হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই সিদ্দিকী অসহায় পরিবারদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন। এছাড়াও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম এবং মৎস্য কর্মকর্তা স্বপন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান জানান, পানি বৃদ্ধির ফলে প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকায় প্লাবন হচ্ছে। বন্যা দীর্ঘায়িত হলে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্যের সংকট দেখা দিতে পারে। মরিচা ইউনিয়নের মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন, কারণ নদী পাড়ের ব্যাপক অংশ অরক্ষিত। জরুরি ভিত্তিতে নদীর অরক্ষিত পাড় রক্ষার দাবি উঠেছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, চরাঞ্চলের প্রায় এক হাজার হেক্টর জমির মরিচ, রোপা আউশ, কলা ও ভুট্টাসহ সবজি বন্যার পানিতে আক্রান্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।