বিচ্ছিন্ন দ্বীপে একীভূত সিদ্ধান্তে উত্তাল আশাশুনি, মানববন্ধন

আনোয়ারুল হকের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা ল’ ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুস সোবহান মুকুল, ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, আশাশুনি প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জি. এম. মুজিবুর রহমান, আশাশুনি বাজার কমিটির সভাপতি এবিএম আলমগীর পিন্টু এবং সেক্রেটারি জাকির হোসেন প্রিন্স। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি মরহুম রিয়াছাত আলীর পুত্র নুরুল আফসার মুরতাজা।

বক্তারা বলেন, আশাশুনি ও শ্যামনগর দুটি ভিন্ন ভৌগোলিক কাঠামোতে গঠিত উপজেলা। আশাশুনি চারটি ও শ্যামনগর তিনটি দ্বীপে বিভক্ত। সড়ক যোগাযোগের ঘাটতির কারণে দুই উপজেলার মধ্যে সরাসরি যাতায়াত সম্ভব নয়। এ অবস্থায় তাদের একীভূত করে সংসদীয় আসন তৈরি করলে তা হবে অবাস্তব, জনবিচ্ছিন্ন ও উন্নয়নবিরোধী সিদ্ধান্ত।

তারা আরও জানান, এই আসন বিন্যাস বাস্তবায়িত হলে জনগণের স্বার্থহানি হবে এবং আশাশুনির মানুষ উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হবে। অনেকেই ইতোমধ্যে ভোট বর্জনের হুমকি দিচ্ছেন। বক্তারা আশাশুনিকে স্বতন্ত্র সংসদীয় আসন ঘোষণা করার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে জোর দাবি জানান।

উপস্থিত জনতা প্ল্যাকার্ড হাতে রেখে “আশাশুনি চাই নিজস্ব আসন”, “একীভূতকরণ মানি না”, “নির্বাচন কমিশন হুঁশিয়ার” ইত্যাদি স্লোগানে সড়ক মুখরিত করেন। মানববন্ধনে আশাশুনির সর্বস্তরের জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন।