প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০২৫, ১০:৫১
উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় চিকিৎসাধীন ৯ বছরের শিশু নাফি শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কাছে হার মানল। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে কয়েকদিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ১৫ মিনিটে সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের রেসিডেন্ট সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, নাফির শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। তার অবস্থার অবনতি হচ্ছিল ধারাবাহিকভাবে। অবশেষে চিকিৎসকদের সব চেষ্টাকে ব্যর্থ করে চলে যায় সে।
নাফির মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩২ জনে। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা সারা দেশে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে শিশুদের মৃত্যুতে মানুষের মধ্যে শোক ও ক্ষোভ একত্রে কাজ করছে।
গত ২১ জুলাই দুপুরে উত্তরা দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনায় ওই সময় স্কুলের শ্রেণিকক্ষে আগুন লেগে যায় এবং আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো ভবনে।
শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীদের অনেকেই দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীনদের অনেকে মারাত্মকভাবে দগ্ধ হওয়ায় পরে মারা যান। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৭১ জন, যাদের অনেকে এখনো চিকিৎসাধীন।
নাফিও ছিল সেই আহতদের একজন, যাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছিল। তার মৃত্যু গোটা জাতিকে আরও শোকাহত করল।
এই দুর্ঘটনার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিভাবকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। দুর্ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে এবং দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সে দিকেও তাকিয়ে রয়েছে দেশবাসী।
এই মর্মান্তিক ট্র্যাজেডিতে যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের স্মরণে ইতোমধ্যে বিভিন্ন জেলায় দোয়া ও প্রার্থনার আয়োজন চলছে।