প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২৫, ২১:৩
টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানায় একটি ডাকাতির মামলায় সন্দেহভাজন একজন আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪ এর সিপিসি-৩ টাঙ্গাইল ক্যাম্প। ঘটনার সূত্রপাত ২০২৪ সালের ২৮ নভেম্বর সন্ধ্যায়, যখন নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানা এলাকা থেকে জয়পুরহাট জেলার কালাই থানার পাঁচশিরা বাজারের উদ্দেশ্যে একটি ট্রাকে করে ৬০ ড্রাম তেল পাঠানো হয়, যার মধ্যে ছিল ৪৫ ড্রাম সয়াবিন ও ১৫ ড্রাম পামওয়েল, যার বাজারমূল্য ছিল প্রায় ১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। ২৯ নভেম্বর গভীর রাতে মির্জাপুর উপজেলার শুভূল্যা এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে একটি হাইয়েস গাড়িতে করে ৭-৮ জন দুষ্কৃতিকারী ডিবি পুলিশের পরিচয়ে ট্রাকটি থামিয়ে ট্রাকচালক ও হেলপারকে কসটেপ দিয়ে বেঁধে রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে ট্রাকসহ সব তেল লুট করে।
এই ঘটনায় ভুক্তভোগী আবুল বাশার ২ ডিসেম্বর মির্জাপুর থানায় ডাকাতি মামলা দায়ের করেন, মামলা নং-০২, ধারা ১৭০/১৭১/৩৯৫ পেনাল কোড ১৮৬০ অনুযায়ী। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব-১৪ এর একটি বিশেষ দল ছায়া তদন্ত শুরু করে। এক পর্যায়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১৯ জুলাই বিকেলে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানার মাস্টারবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতি মামলার সন্দেহভাজন আসামি আনোয়ার হোসেন (৪১) কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র্যাব।
গ্রেফতারকৃত আনোয়ার হোসেন ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানার বাসিন্দা। অভিযানের সময় তাকে ময়মনসিংহ-ঢাকা মহাসড়কের আইডিয়াল মোড় এলাকায় অবস্থানরত অবস্থায় পাকড়াও করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার বিরুদ্ধে ডাকাতি সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
র্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। অভিযানের মাধ্যমে পুলিশের তদন্ত অগ্রগতি লাভ করেছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এদিকে র্যাব-১৪ এর এই সফল অভিযানে এলাকায় স্বস্তি ফিরেছে। ভুক্তভোগী পরিবার র্যাবের এই তৎপরতা ও আন্তরিকতায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং দ্রুত ন্যায়বিচার প্রাপ্তির প্রত্যাশা করছেন।এ ঘটনায় আরও যেসব ব্যক্তি জড়িত রয়েছে তাদের চিহ্নিত ও গ্রেফতারের জন্য র্যাবের তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।এই ধরণের সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন র্যাবের এক কর্মকর্তা।