প্রকাশ: ৬ জুলাই ২০২৫, ১১:৫৭
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের জগদানন্দ গ্রামে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত আওয়ামী লীগ নেতা কামাল কোম্পানির মায়ের মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বৃদ্ধা হোসনে আরা বেগমের ঘরে ঢুকে তার ওপর হামলা চালিয়ে শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। হামলাকারীরা প্রায় ৪ ভরি স্বর্ণালংকার ও বিছানার নিচে রাখা সাড়ে তিন লাখ টাকা লুট করে পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোববার সকালে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
হোসনে আরা বেগম কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ কামাল খাঁনের মা ছিলেন। হামলার সময় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বাড়ির বাইরে থাকায় বৃদ্ধা একাই ছিলেন। তাঁর নাতি সালমান প্রথমে আহত অবস্থায় তাকে দেখতে পান এবং সাড়াশিৎকারে আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসে।
নিহতের ছেলে মাইনউদ্দিন অভিযোগ করেন, এটি সাধারণ চুরি নয়, এটি পরিকল্পিত ডাকাতির ঘটনা। তিনি বলেন, তাদের পরিবারের ওপর নৃশংস হামলার উদ্দেশ্য ছিল লুটপাট করা। এলাকার মানুষের মধ্যে এ ঘটনার পর আতঙ্ক বিরাজ করছে এবং তারা দ্রুত বিচারের দাবিতে স্বর তুলেছেন।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীন মিয়া জানান, নিহতের ছেলে বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। পুলিশের তদন্ত চলছে এবং তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত জানানো সম্ভব নয়। তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া গেছে, একাধিক ব্যক্তি এ ঘটনা ঘটিয়েছে এবং এটি একটি সংগঠিত ডাকাতি ও আক্রমণ।
স্থানীয়রা বলেন, হোসনে আরা বেগম সবসময় বেশ কিছু স্বর্ণালংকার পরিধান করতেন। সম্ভবত চুরি করতে আসা দুর্বৃত্তরা তাকে চিনে ফেলায় এত নির্মমভাবে আঘাত করেছে। এ ধরনের নৃশংস ঘটনা এলাকায় অনেকদিন ধরে দেখা যায়নি বলে এলাকাবাসী শোকাহত ও বিচলিত।
এই হত্যাকাণ্ড রাজনৈতিক নেতার পরিবারের ওপর হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থানীয়রা দ্রুত বিচার দাবি করছেন এবং পুনরায় এ ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে তার জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে বলছেন।