প্রকাশ: ৬ জুলাই ২০২৫, ১১:৪১
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-কে লক্ষ্য করে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, মাত্র ১০ জন নেতার একটি ছোট দল হলেও সেখানে একজন নারী নেত্রী নিজের দলের পরিচিত ও জ্ঞানী নেতার হাত থেকে যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে অংশ নিয়ে এনসিপি নেতা আরিফুল ইসলাম আদীবের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন। তার বক্তব্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার জন্ম নিয়েছে, যেখানে ছোট দলেও নারী নিরাপত্তার অভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
রুমিন বলেন, বিএনপিকে যারা প্রতিনিয়ত সমালোচনা করেন, তারা নিজেদের দলেই কী ঘটছে তা দেখেন না। তিনি দাবি করেন, এনসিপির নেতারাই সব সময় বিএনপির বিরুদ্ধে মারামারি, চাঁদাবাজি ও নির্বাচন কারচুপির অভিযোগ করেন, অথচ তাদের দলেই নারী নেত্রী যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলছেন। তার মতে, এতে প্রমাণ হয়, বড় দলের সমালোচকদের নিজেদের ঘর সামলানো উচিত।
তিনি বলেন, ‘‘বিএনপি কতটা খারাপ সেটা প্রতিনিয়ত শুনতে হয় এনসিপির নেতাদের মুখে। অথচ মাত্র ১০ জনের একটি দলেও যদি নারী নিরাপত্তা না থাকে, তাহলে তারা কীভাবে নতুন রাজনীতির কথা বলেন?” তার এই বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।
এই মন্তব্য নিয়ে এনসিপির পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে এবং অনেকে রুমিনের বক্তব্যকে ‘রাজনৈতিক আক্রমণ’ বলেই অভিহিত করছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের মন্তব্য নতুন রাজনীতির নামে আত্মপ্রকাশ করা দলগুলোর অভ্যন্তরীণ অসঙ্গতিকে সামনে এনে দেয়। পাশাপাশি এটি স্পষ্ট করে যে নারী রাজনীতিকরা এখনও সুরক্ষিত নয়, এমনকি ছোট সংগঠনগুলোতেও তারা হয়রানির মুখোমুখি হচ্ছেন।
রুমিনের বক্তব্যকে কেউ কেউ রাজনৈতিক চাল বললেও, অনেকে মনে করছেন এটি নারী নিরাপত্তার প্রশ্নে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যেসব দল গণতন্ত্র, নৈতিকতা ও বিকল্প রাজনীতির কথা বলে, তাদের মধ্যে এমন অভিযোগ বিশ্বাসযোগ্যতার প্রশ্ন তোলে।
সামাজিক মাধ্যমে রুমিনের এই বক্তব্য ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যেও বিষয়টি নিয়ে কৌতূহল দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ একে সাহসী বক্তব্য হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ বলছেন এটি রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ানোর একটি কৌশল।