প্রকাশ: ২ জুলাই ২০২৫, ১০:৫০
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় এক বৃদ্ধা নারীকে ঘরের ভেতর কুপিয়ে গুরুতর আহত করে দুর্বৃত্তরা তার স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেছে। এই ঘটনায় এলাকায় উদ্বেগ ও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের জগদানন্দ গ্রামের কামাল কোম্পানীর বাড়িতে এই নৃশংস ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
আহত হোসনে আরা বেগম ওই এলাকার আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতার মা। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার ছেলে মাইন উদ্দিন জানান, তার মা তখন ঘরেই একা ছিলেন। তিনি ও তার স্ত্রী বাইরে ছিলেন। দুর্বৃত্তরা বসত ঘরে ঢুকে মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তিনবার কোপ দিয়ে আহত করে।
দুর্বৃত্তরা শরীর থেকে প্রায় চার ভরি স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং বিছানার নিচে রাখা সাড়ে তিন লাখ টাকা লুট করে। ঘটনার পর ভাতিজা সালমান এসে রক্তাক্ত অবস্থায় বৃদ্ধাকে ঘরের সামনে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে প্রতিবেশীদের সাহায্যে তাকে দ্রুত নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ওই নারী সর্বদা শরীরে স্বর্ণালংকার পরিধান করতেন। তদন্তে জানা গেছে, দুর্বৃত্তদের মধ্যে কেউ তাকে চিনে ফেলায় তাকে আহত করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এটি একটি পরিকল্পিত ডাকাতির ঘটনা, যেখানে ২ থেকে ৩ জন অংশ নিয়েছিল।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন মিয়া বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আমরা ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চালাচ্ছি। জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।”
স্থানীয় বাসিন্দারা এই ধরনের সহিংসতা এলাকায় আগে কখনো ঘটেনি বলে জানিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার দাবি জানান। তাঁরা আশঙ্কা করছেন, এমন ঘটনার ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে দুশ্চিন্তা ও আতঙ্ক বৃদ্ধি পাবে।
এমন একটি নৃশংস ঘটনার পর পুলিশি উদ্যোগ ও দ্রুত পদক্ষেপই এলাকাবাসীর মধ্যে নিরাপত্তার অনুভূতি ফিরিয়ে আনতে পারে। এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে সজাগ থাকার পাশাপাশি সবার সহযোগিতা দরকার বলে মনে করেন এলাকাবাসী।
নোয়াখালীর এই ঘটনাটি স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীর জন্যও একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে। দ্রুত তদন্ত ও অভিযুক্তদের গ্রেফতারের মাধ্যমে এলাকায় নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনা এখন সময়ের দাবি।