প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৫, ১৬:১২
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের বেলপুকুর গ্রামে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তায় জমে থাকা কর্দমাক্ত কাদা চরম ভোগান্তির সৃষ্টি করছে। পুকুরপাড়ে পাঁকে হাটু ডুবিয়ে প্রতিদিন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও পথচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। রাস্তাটি সংলগ্ন একটি পুকুরে মাছচাষের জন্য পাড় বাঁধাই করায় পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রাস্তাটি একপ্রকার ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এই দুরবস্থায় পড়েছে মঠপাড়া, বৃদ্ধিগ্রাম ও বেলপুকুর এলাকার বাসিন্দারা।
বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাটি হয়ে যায় হালচাষের জমির মতো। বিশেষ করে সকালে স্কুলে যাওয়ার সময় শিক্ষার্থীরা পা পিছলে পড়ে যাচ্ছে পুকুরে, অনেক সময় বই বা বাইসাইকেলও পানিতে পড়ে নষ্ট হচ্ছে। ফলে অভিভাবকদের মধ্যেও তৈরি হয়েছে দুশ্চিন্তা। উচাই জেরকা সিং আদিবাসী এস সি উচ্চবিদ্যালয়, উচাই বালিকা উচ্চবিদ্যালয় এন্ড কলেজ এবং পাথরঘাটা মিশন স্কুলের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তারা বাধ্য হয়ে প্রতিদিন এই রাস্তা ব্যবহার করেন কারণ এটি সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত ও সহজপথ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পুকুরটির পাড় মেরামতের সময় পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না করায় বর্ষার পানি রাস্তায় জমে থাকছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তারা রাস্তা ভালো করে দেওয়ার অনুরোধ করলেও পুকুর মালিক পক্ষ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তারা পুকুরে পানি নামতে দেবে না। ফলে রাস্তার দক্ষিণ পাশটিতে হাটু পর্যন্ত কাদা জমে থাকছে, যেটি বর্ষায় আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে।
বেলপুকুর আদিবাসী পাড়ার বাসিন্দা চুন্ডা টুডু বলেন, রাস্তাটি এখন একেবারেই চলার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বর্ষা মৌসুমে এটি আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে বয়স্ক, শিশু ও নারীদের জন্য। এলাকার মানুষজন বারবার অভিযোগ করলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই দুর্ভোগ দূর করতে রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার বা পাকাকরণ ছাড়া বিকল্প নেই। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করে পাড় বাঁধাইয়ের অনুমতি দেওয়ায় প্রশাসনের দায়িত্বহীনতাও প্রশ্নবিদ্ধ। শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জরুরি ভিত্তিতে রাস্তাটি উন্নয়নের দাবি জানিয়েছেন।