প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৫, ১৭:৯
সিলেট শহরের বিভিন্ন কাঁচাবাজারে হঠাৎ করেই চাল ও সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ ক্রেতারা চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছেন। কোরবানি ঈদের পর এক সপ্তাহ বাজার স্থিতিশীল থাকলেও গত কয়েক দিন ধরে চাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজির মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে। খুচরা বাজারে চালের দাম কেজিতে ৮ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে এবং সবজির দাম কেজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
রোববার সকালে সিলেটের বন্দরবাজার, লালবাজার, শিবগঞ্জ, আম্বরখানা, কদমতলি ও ভার্থখলা বাজার ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতারা নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন। ঈদের পর থেকেই চালকল মালিকরা দাম বাড়িয়েছেন বলে দাবি করেছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। মিলগেটে ৫০ কেজির বস্তায় চালের দাম গত সপ্তাহে ২৫০ টাকা এবং এই সপ্তাহে আরও ১৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে সর্বমোট ৪০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গেছে।
চালের মানভেদে এখন মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫৮ থেকে ৬৫ টাকা, জিরাশাইল চাল ৭৪ থেকে ৮০ টাকা, মিনিকেট ৭৬ থেকে ৮৪ টাকা এবং কাটারিভোগ চাল ৭০ থেকে ৭৬ টাকা দরে। এই দামের পার্থক্য শহরের খুচরা ও ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোর মধ্যে দেখা যাচ্ছে।
সবজির বাজারেও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। সোবহানীঘাট বাজারের বিক্রেতা আলমগীর হোসেন বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় সবজির কেজি প্রতি দাম ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। বরবটি, কাকরোল, উস্তা ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পেঁপে, পটল, ঢ্যাঁড়স ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, ঝিঙা ও চিচিঙা ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, এমনিতেই জিনিসপত্রের দাম বেশি, তার ওপর চাল ও সবজির হঠাৎ এই মূল্যবৃদ্ধি পরিবারের খরচ বহন করা কঠিন করে তুলেছে। কোনো রকম পূর্বঘোষণা ছাড়াই একসাথে সব পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় মানুষ দিশেহারা।
অনেকেই অভিযোগ করেছেন, পাইকারি পর্যায়ে পণ্যের সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই, তবু ব্যবসায়ীরা অজুহাত দেখিয়ে দাম বাড়াচ্ছেন। বাজার ব্যবস্থাপনা ও তদারকির অভাবের কারণে অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিচ্ছে বলে ধারণা করছেন ক্রেতারা।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাজারে নজরদারি বাড়ানো ও ব্যবসায়ীদের মনিটরিং জোরদার করা না হলে এমন পরিস্থিতি নিয়মিতই দেখা যাবে, যা ভোক্তাদের জন্য অত্যন্ত দুশ্চিন্তার।