প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ২১:৩৭
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে একটি ঘরের কাপড় রাখার ওয়ারড্রপের ভেতর থেকে তানিয়া আক্তার ওরফে বুলু নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে সরোয়ার মন্ডলের ভাড়া বাড়ির দোতলার একটি রুমে এই ঘটনা ঘটে। নিহত বুলুর বাড়ি বরিশাল জেলার রায়পুরা থানায়। মরদেহ উদ্ধারের সময় তার গলায় মোবাইল চার্জারের তার পেঁচানো ছিল, যা পুলিশকে হত্যা সন্দেহ জোরদার করেছে।
পুলিশ জানায়, সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে কোনো এক সময়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে খবর পেয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওয়ারড্রপের ভেতর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে এবং চার্জার, মোবাইল ফোন, কেবল ও সিগারেটের অ্যাশট্রে আলামত হিসেবে জব্দ করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুলু বেশ কয়েক বছর ধরে যৌনপল্লীতে বসবাস করছিলেন। ঘটনার দিন তার আচরণে কিছুটা অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায়। বিকেল থেকে তাকে খুঁজে না পেয়ে আশপাশের লোকজন খোঁজ শুরু করলে ওয়ারড্রপের ভেতর মরদেহ দেখতে পায়।
ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ রাকিবুল ইসলাম। তিনি জানান, মরদেহের গলায় চার্জার তার পেঁচানো অবস্থায় পাওয়া গেছে। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় দৌলতদিয়া যৌনপল্লী এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পল্লীর বাসিন্দারা দ্রুত হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
ওসি আরও জানান, ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অপরাধীদের চিহ্নিত করতে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণসহ অন্যান্য তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে।
মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।