প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ১০:৪৯
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার একটি গ্রামে ঘটে গেছে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা। মোবাইল ফোন কিনে না দেওয়ায় অভিমান করে মাত্র ৯ বছর বয়সী এক তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাটি এলাকায় শোক, ক্ষোভ এবং বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে। শিশুটির নাম ফেরদৌসী খাতুন, সে শৈলী সাবলা গ্রামের ফরহাদ আলীর কন্যা ও স্থানীয় স্কুলের শিক্ষার্থী।
পরিবারের সদস্যদের বরাতে জানা গেছে, ফেরদৌসী দীর্ঘদিন ধরে একটি মোবাইল ফোন চেয়ে আসছিল। মা-বাবা সেটি কিনে দিতে রাজি না হওয়ায় সে রোববার বিকেলে অভিমান করে নিজ ঘরে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। দরজা বন্ধ দেখে সন্দেহ হলে মা-বাবা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে তার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান।
খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের লোকজন ওই বাড়িতে ভিড় জমায়। উপস্থিত সকলে এমন এক কোমলমতি শিশুর এমন পরিণতিতে গভীরভাবে শোকাহত হয় এবং এক হৃদয় বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। অনেকেই হতবাক হয়ে পড়ে—যেখানে একটি মোবাইল ফোনের জন্য একটি নিষ্পাপ প্রাণ অকালে ঝরে গেল।
রায়গঞ্জ থানার উপপরিদর্শক এখলাছুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রতিবেদন পাওয়ার পর আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
ঘটনার পর স্থানীয় এলাকায় শিশুদের মানসিক বিকাশ, প্রযুক্তির আসক্তি এবং পরিবারে বন্ধুত্বপূর্ণ যোগাযোগ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, শিশুদের আবেগকে অবহেলা না করে যথাসময়ে বোঝানো এবং সহানুভূতিশীল আচরণ করা অত্যন্ত জরুরি।
এ ঘটনা নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্ত চলছে এবং পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
একটি ছোট্ট অনুরোধে এমন বিপর্যয় এলাকা জুড়ে গভীর বিষাদ নামিয়ে এনেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুদের মানসিক চাপ ও চাহিদা বোঝার জন্য পরিবারকে আরও যত্নবান ও সংবেদনশীল হওয়া উচিত।