প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৫, ১৯:২৯
নোয়াখালীতে টানা বৃষ্টির কারণে শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে, এতে সাধারণ মানুষ পড়েছে চরম দুর্ভোগে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় জেলার আবহাওয়া অফিস সর্বোচ্চ ১৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া কর্মকর্তারা।
বৃষ্টির কারণে জেলা জজ আদালত চত্বর, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, মাস্টারপাড়া, খোন্দকার পাড়া, মধুসূদনপুর ও হাউজিং এস্টেটসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যায়। এতে করে শিক্ষার্থী, কর্মজীবী মানুষ, রোগী ও সাধারণ পথচারীদের চলাফেরায় তীব্র অসুবিধার সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে সকাল-সন্ধ্যা অফিস ও স্কুল-কলেজে যাতায়াতকারী মানুষ দুর্ভোগে পড়ে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, নোয়াখালী পৌর এলাকায় খাল ও জলাধারগুলো দখল হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টির পানি নামার পথ নেই। ফলে অল্প বৃষ্টিতেই শহরের রাস্তাঘাটে পানি জমে যায়। তারা বলেন, শহরের নিচু এলাকাগুলোতে প্রায়ই জলাবদ্ধতা দেখা যায় এবং দীর্ঘদিন ধরেই এটি একটি স্থায়ী সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অপরিকল্পিতভাবে আবাসন গড়ে তোলা ও পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাবেও এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করেন বাসিন্দারা। কেউ কেউ বলেন, খাল পুনর্খনন এবং অবৈধ দখল উচ্ছেদ না করলে ভবিষ্যতে নোয়াখালী শহর স্থায়ী জলাবদ্ধতায় পরিণত হবে।
জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে নোয়াখালীতে। আরও কয়েকদিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
এদিকে জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে প্রশাসন একাধিকবার সভা করেছে এবং সমস্যা সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, শুধু প্রশাসনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নিলেই হবে না, নাগরিকদেরও সচেতন হতে হবে এবং খাল-নালা দখলমুক্ত রাখতে সহযোগিতা করতে হবে।
বৃষ্টির পানি দ্রুত নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় দুর্ভোগ প্রতিদিনের সঙ্গী হয়ে উঠছে শহরবাসীর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদি ড্রেনেজ ব্যবস্থার দাবি দিন দিন জোরালো হচ্ছে।