প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২৫, ১৭:৮
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
নওগাঁ শহরের বাইপাস সড়কে একটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন পারভীন আক্তার নামের এক নারী। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন একই পরিবারের আরও ছয়জন, যাদের মধ্যে এক শিশু ও এক নারীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনাটি ঘটে বুধবার সকাল ১০টার দিকে শহরের পুলিশ লাইনের সামনে, যেখানে বেক্সিমকো ঔষধ কোম্পানির একটি গাড়ি ও একটি সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। নিহত পারভীন আক্তার সাপাহার উপজেলার রসুলপুর গ্রামের সাজির উদ্দিনের স্ত্রী।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন পারভীনের আত্মীয় সিরাজুল ইসলাম, তার স্ত্রী ইসমত আরা, ছোট ভাই সাজির উদ্দিন, সাজির ছেলে আরিফ, আরিফের স্ত্রী সাদিকা এবং তাদের ছয় বছর বয়সী ছেলে রাফিউল। শিশুটির অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সাদিকার সঙ্গে তাকেও রাজশাহীতে পাঠানো হয়। এই পরিবারটি মামলার হাজিরার উদ্দেশ্যে সিএনজিতে করে সাপাহার থেকে নওগাঁ জেলা জজকোর্টে যাচ্ছিলেন। পথে বাইপাস সড়কে বিপরীত দিক থেকে আসা ঔষধ কোম্পানির গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষে তাদের সিএনজিটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
স্থানীয়রা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়, যেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক পারভীন আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে কাজ শুরু করে।
নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয় যানবাহন জব্দ করেছে এবং ড্রাইভারদের থানায় নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ঘটনার প্রেক্ষিতে একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
এ দুর্ঘটনা আবারও প্রমাণ করে, দ্রুতগামী ও বেপরোয়া চালনার কারণে সড়কে প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষ জীবন হারাচ্ছে। দুর্ঘটনাস্থলে কোনও ট্রাফিক ব্যবস্থা বা গতি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা না থাকায় এ ধরনের ঘটনা নিয়মিত ঘটছে বলে জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয় জনগণের দাবী, বাইপাস ও শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ জোরদার করা হলে এ ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব।
সড়কে প্রাণ হারানো পারভীন আক্তারের মৃত্যুতে তার এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শিশু রাফিউল ও তার মায়ের সুস্থতা কামনায় এলাকাবাসীও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।