প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২৫, ১৬:৪৭
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় সরকারি ঘর পাওয়ার পর ফাঁকা জমি ফেলে না রেখে ফলজ ও সবজির বাগান গড়ে তুলেছেন জীবনপুর এলাকার মিথাইল ও লক্ষী দম্পতি। জীবিকার তাগিদে ঘরের পাশে অব্যবহৃত জমিতে আম, জাম, কলা, কাঁঠাল ও লিচুর গাছসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করছেন তারা। মিথাইল বলেন, ঘর পাওয়ার পর থেকে জমিটি ব্যবহার না করে ফেলে রাখতে পারিনি।
তাই নানা ধরনের ফলজ গাছ লাগিয়ে নিজেদের খাদ্য ও অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা বাড়াতে কাজ শুরু করেছি। প্রতি গাছে প্রচুর ফল ধরছে, বিশেষ করে আমের গাছে প্রায় ২০টি গাছ রয়েছে, যার থেকে তারা বাজারে আম বিক্রি করতে সক্ষম হচ্ছেন। লক্ষী রানী জানান, সংসারে তিন ছেলে তাদের পড়াশোনার খরচ আছে,
তাই আমি শুধুমাত্র বসে থাকতে পারি না। আমি মানুষের বাড়িতে দিনমজুরি করি এবং বাড়িতে হাঁস-মুরগি ও ছাগল পালনের মাধ্যমে সংসার চালাই। জীবনের নানা চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও এই দম্পতি ধৈর্য ও পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেদের জীবন গড়ে তুলছেন। স্থানীয় বাগজানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নাজমুল হক বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় যারা সরকারি ঘর পেয়েছেন, তারা নিজেরা নিজেদের
চারপাশের ফাঁকা জমি ফেলে না রেখে ফল-সবজি চাষ করছেন। এ ধরনের উদ্যোগ গ্রামীণ এলাকার আত্মনির্ভরশীলতা বৃদ্ধি করে এবং পরিবারগুলোকে স্বাবলম্বী করতে সহায়তা করে। পাঁচবিবি অঞ্চলের অনেক পরিবারই এই উদাহরণ অনুসরণ করছে এবং নিজেদের জীবনমান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছে।
এ ধরনের কৃষি চর্চার ফলে শুধু খাদ্যের চাহিদা মেটানোই নয়, অর্থনৈতিক সচ্ছলতার পথও খুলে যাচ্ছে। মিথাইল-লক্ষী দম্পতির এই প্রচেষ্টা স্থানীয়দের জন্য এক অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করছে এবং আশ্রয়ণ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আগামী দিনে এই ধরনের উদ্যোগ আরও সম্প্রসারিত হলে গ্রামীণ অর্থনীতিতে তা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।