প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২৫, ১১:৩২
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে এক লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান বলেন, দেশের পুরোনো চাঁদাবাজরা হয়তো পালিয়ে গেছে, তবে এখন নব্য চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। তিনি বলেন, নতুন করে গজিয়ে ওঠা এসব চাঁদাবাজের কারণে দেশের ব্যবসায়ীরা স্বাভাবিকভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারছেন না। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। এদের প্রতিহত না করতে পারলে কোনো গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা সফল হবে না।
শাকিল আরও বলেন, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর দীর্ঘদিন ধরে ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগ্রামে আপোষহীন ভূমিকা রেখেছেন। জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের সময় তিনি রিমান্ডে থাকা অবস্থায় বলেছিলেন, আওয়ামী লীগের ৯০ শতাংশ ইতিমধ্যেই পতনের পথে, বাকি ১০ শতাংশকে সরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব দেশের জনগণের। সেই আহ্বানে জনগণের একাংশ ইতিমধ্যেই সাড়া দিয়েছে।
তিনি আরও দাবি করেন, বর্তমানে গণঅধিকার পরিষদের নেতৃত্বে সারাদেশে ছাত্র, শ্রমিক ও সাধারণ জনগণ একত্রিত হয়ে একটি গণজোয়ারের সৃষ্টি করেছে। এই গণজোয়ারের মাধ্যমে দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ এবং দুঃশাসনের বিরুদ্ধে একটি সংগঠিত গণআন্দোলন গড়ে উঠছে।
গণঅধিকার পরিষদ ভবিষ্যতে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বলে জানান শাকিল। তিনি বলেন, অলিগলি পাড়া-মহল্লায় এখন গণঅধিকার পরিষদের বার্তা ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষের মধ্যে জেগে উঠেছে পরিবর্তনের প্রত্যাশা এবং সেই প্রত্যাশাকে শক্তিতে রূপ দিতে কাজ করে চলেছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে গোপালপুর পৌর শহরে ২১ দফা ঘোষণাপত্রের লিফলেট বিতরণ চলাকালে এই বক্তব্য দেন শাকিল। তিনি বলেন, সরকারের দুর্নীতি ও দমননীতির বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী গণআন্দোলনের ভিত্তি ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে।
এ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন গোপালপুর উপজেলা সভাপতি মোঃ নসিম উদ্দিন, জেলা সাধারণ সম্পাদক মোঃ নবাব আলী, ছাত্র অধিকার পরিষদের জেলা সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ সজিব হোসেন, সহ-সভাপতি মোঃ রেজাউল হান্নান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রনি, জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক এস এম সিহাবসহ আরও অনেকে।
নেতাকর্মীরা দাবি করেন, ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনের লক্ষ্যেই তারা একত্রিত হচ্ছেন। এ আন্দোলন কোনো একটি দলের বিরুদ্ধে নয়, বরং চাঁদাবাজি, দুঃশাসন ও স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশের সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম।