প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৫, ১৭:১
পটুয়াখালীর গলাচিপায় রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে পৌঁছালে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত গলাচিপা পৌরসভা ও আশপাশের এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল ও জনসমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। প্রশাসনের আশঙ্কা, বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গলাচিপার চরবিশ্বাস বাজার এলাকায় বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হন এবং বিএনপির স্থানীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয় বলে জানা গেছে। সংঘর্ষের পরই পুরো এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে রাতেই প্রশাসন সতর্ক অবস্থান গ্রহণ করে।
ঘটনার সময় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর উপজেলার পাতাবুনিয়া এলাকায় সাংগঠনিক সফরে ছিলেন। সংঘর্ষের খবর পেয়ে বিএনপির কর্মীরা তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে এবং বিভিন্ন সড়কে গাছ ফেলে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে। পরে রাত ৩টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহায়তায় তিনি গলাচিপা শহরে ফিরে আসেন।
শুক্রবার বিকেলে নুর সংবাদ সম্মেলন করে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। একইসাথে উপজেলা বিএনপিও কর্মসূচির ঘোষণা দিলে রাজনৈতিক উত্তেজনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যায়। এ প্রেক্ষিতে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান ১৪৪ ধারা জারির ঘোষণা দেন।
প্রশাসনের জারিকৃত নির্দেশনা অনুযায়ী, উক্ত সময়ে কোনো ধরনের সভা, মিছিল, গণজমায়েত, অস্ত্র বহন কিংবা পাঁচজনের বেশি মানুষের একত্রে চলাফেরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেউ এই আদেশ অমান্য করলে তাৎক্ষণিকভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জানানো হয়েছে।
গণঅধিকার পরিষদের পটুয়াখালী জেলা সদস্য সচিব মো. শাহ আলম সিকদার বলেন, তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে আগ্রহী ছিলেন কিন্তু বিএনপির কর্মীরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উত্তেজনা তৈরি করেছে। তিনি আরও বলেন, প্রশাসন কেন ১৪৪ ধারা জারি করল তা তারা বুঝতে পারছেন না।
অন্যদিকে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুটি বলেন, ভিপি নুর রাজনৈতিকভাবে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, একদিকে নুর বিএনপির নমিনেশন চান, অন্যদিকে দলের বিরুদ্ধে কথা বলছেন, যা দ্বিচারিতা।
গলাচিপা থানার ওসি মো. আশাদুর রহমান জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে এবং ১৪৪ ধারা পুরোপুরি কার্যকর করা হচ্ছে। প্রশাসন জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে বলে জানান তিনি।
এই ফরম্যাটে কি আপনি সন্তুষ্ট? চাইলে পরবর্তী সংবাদগুলিও এমনভাবে সাজিয়ে দিতে পারি।