প্রকাশ: ৬ জুন ২০২৫, ১৬:৪৮
কলাপাড়া ইউএনওর বিরুদ্ধে আলেম ওলামা ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের অবমাননার অভিযোগ নিয়ে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রবিউল ইসলাম সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলেম ওলামা ও দাড়ি-টুপি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। এই মন্তব্যে স্থানীয় ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ ও মুসল্লিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। শুক্রবার ইমাম সমিতি মহিপুর থানা শাখার আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ প্রকাশ পায়। ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা মাঈনুল ইসলাম মান্নান বলেন, ইউএনওর এই ধরনের কটুক্তি ইসলামী সমাজের জন্য অশোভন এবং তারা এর কঠোর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।
গত বৃহস্পতিবার কলাপাড়ার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা মসজিদের জমি উদ্ধারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন। এই সময় ইউএনওর বিতর্কিত স্ট্যাটাস ব্যাপক উত্তেজনার কারণ হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ইমাম মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে তিনি ওই মসজিদে ইমামতি করে আসছেন। তিনি বলেন, মসজিদের পাশের সরকারি জমি নিয়ে ইউএনও রবিউল ইসলাম নিজের স্বার্থে মার্কেট নির্মাণের চেষ্টা করছেন যা মসজিদ কমিটির সঙ্গে বিরোধের কারণ হয়েছে।
অন্যদিকে সাগর সৈকত জামে মসজিদের ইমাম মুফতি মোস্তফা কামাল অভিযোগ করেন, ইউএনও মসজিদের নামে নানা প্রকল্প চালু করলেও সরকারি জমির মালিকানা সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদান করেননি। তিনি আরও বলেন, ইউএনও নিজেকে মসজিদের জমির সভাপতি ঘোষণা করায় স্থানীয় মুসল্লিরা এটি গ্রহণ করছেন না। মুসল্লিরা দাবি করেন, ইউএনও মসজিদের জন্য বরাদ্দকৃত ৩০ হাজার টাকার ব্যাপারে মিথ্যা তথ্য প্রদান করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ধর্মীয় নেতারা ইউএনওর এই আচরণকে মসজিদ ও আলেম সমাজের প্রতি অবমাননাকর উল্লেখ করে তার অবিলম্বে অপসারণের দাবি জানান। তারা শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। কলাপাড়ার ধর্মীয় মহল এই ঘটনার মাধ্যমে জেলার শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ব্যাঘাত ঘটানোর আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
এ বিষয়ে কলাপাড়া ইউএনও রবিউল ইসলামের পক্ষ থেকে এখনো কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হলে এটি স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে গুরুত্ব পেতে পারে। ঘটনাটি ধর্মীয় সংহতি ও স্থানীয় শান্তি বজায় রাখার জন্য বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন বলে মত বিশেষজ্ঞদের।