প্রকাশ: ৬ জুন ২০২৫, ১৬:৩১
দিনাজপুরের বিরামপুরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ১৫টির মতো গ্রামের মুসল্লিরা ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন। শুক্রবার (৬ জুন) সকাল সাড়ে আটটায় উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের আয়ড়া মাদ্রাসা মাঠ ও খয়েরবাড়ি-মির্জাপুর সুমনের আঙ্গিনায় দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। আয়ড়া মাদরাসা মাঠে ইমামতি করেন পারভেজ হোসেন এবং খয়ের বাড়িতে ইমামতি করেন মো. দোলোয়ার হোসেন। জামাতে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও অংশ নেন। নামাজ শেষে মুসল্লিরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোরবানি করেছেন।
স্থানীয়রা বিভিন্ন বাহন যোগে একত্রিত হয়ে মাদরাসা মাঠে পৌঁছান। বিরামপুর থানা পুলিশ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে যাতে কোনও বিশৃঙ্খলা না হয়। নির্ধারিত সময়ে জামাত শুরু হয়। স্থানীয় মুসল্লিরা সৌদি আরবের সঙ্গে সময় মিলিয়ে ঈদ পালন করার কারণ হিসেবে বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদির সময় পার্থক্য মাত্র তিন ঘণ্টা, যা দিন পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলে না।
মো. দোলোয়ার হোসেন কাজি জানান, ১৯৯৭ সাল থেকে এই পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু ২০১৩ সাল থেকে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তারা বলেন, এই পদ্ধতিতে ঈদ উদযাপনের মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধি পায়।
বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমতাজুল হক জানান, জোতবানি ও বিনাইল ইউনিয়নে ঈদের আগাম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে দুইটি এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দুই জামাতে প্রায় ২০০ মুসল্লি অংশ নেন। তিনি জানান, এলাকায় কোনও ধরনের বিশৃঙ্খলা না হয় তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
এ ধরনের ঈদ উদযাপন স্থানীয় মুসল্লিদের মধ্যে উৎসাহ ও ঐক্যের সৃষ্টির কারণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে। তারা আশা করছেন ভবিষ্যতেও এই ধরনের ঐক্যবদ্ধ ও সুশৃঙ্খল ঈদ উদযাপন অব্যাহত থাকবে। এতে ধর্মীয় অনুভূতি ও সামাজিক সম্প্রীতি বজায় থাকবে বলে মত প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়দের মতে, এই ধরনের ঈদ উদযাপন মুসলিম বিশ্বে ঐক্যের প্রতীক এবং তা স্থানীয় সমাজে শান্তি ও ভ্রাতৃত্ববোধ বাড়াতে সাহায্য করে। এর মধ্য দিয়ে ধর্মীয় দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সামাজিক বন্ধন শক্তিশালী হয়।
এভাবেই বিরামপুরের ১৫টি গ্রামের মুসল্লিরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করেন, যা স্থানীয় জনগণের মধ্যে ধর্মীয় অনুভূতি ও ঐক্যের একটি শক্তিশালী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।