দেবীদ্বারে স্কুলছাত্র হত্যাচেষ্টা মামলায় আ’লীগ নেতা ফখরুল গ্রেফতার

গ্রেফতারকৃত ফখরুল আলম বক্রিকান্দি গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদ মাস্টারের ছেলে এবং সুলতানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে চলমান মামলায় অভিযোগ রয়েছে, গত বছরের ৪ আগস্ট দেবীদ্বার সরকারি কলেজ রোডে কালাচাঁদ সুপার মার্কেটের সামনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থী আবু বকরকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন আওয়ামী লীগপন্থী একদল সন্ত্রাসী। ঘটনায় গুরুতর আহত আবু বকর এখনো চিকিৎসাধীন।

আবু বকরের পিতা মো. আবুল খায়ের বাদী হয়ে কুমিল্লা আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মামুনুর রশিদসহ এজাহারভুক্ত ৭৩ জনকে আসামি করা হয়। মামলাটি আদালতের নির্দেশে তদন্তাধীন অবস্থায় রয়েছে। ফখরুল আলম এজাহারনামীয় আসামি না হলেও, তদন্তে তার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানায় পুলিশ।

দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ফখরুল আলমকে গ্রেফতার করা হয়। অনুসন্ধানে পাওয়া ভিডিও ফুটেজ ও স্থিরচিত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, সে সরাসরি হামলায় অংশ নিয়েছিল। তাই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”

এই গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে এলাকায় নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থী ও সচেতন অভিভাবক মহল দীর্ঘদিন ধরে মামলার অগ্রগতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছিলেন। পুলিশ বলছে, মামলাটির তদন্ত চলছে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে ও সাধারণ মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কেউ বলছেন, এই গ্রেফতার ন্যায়বিচারের পথে এক ধাপ অগ্রগতি, আবার কেউ এটিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলেও মন্তব্য করছেন।