বরিশালের ছয় নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, বৃষ্টি-ঝড়ে লঞ্চ বন্ধ

তথ্যমতে, বিষখালী নদীর পানি বরগুনা সদর উপজেলায় তিন সেন্টিমিটার, পাথরঘাটা উপজেলায় ১৭ সেন্টিমিটার এবং বেতাগীতে এক সেন্টিমিটার উপরে রয়েছে। এছাড়া ভোলার তজুমদ্দিনে মেঘনা নদীর পানি ৬৭ সেন্টিমিটার, পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীতে ১৩ সেন্টিমিটার এবং কঁচা নদীর উমেদপুর পয়েন্টে তিন সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এসব অঞ্চলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় অনেক গ্রামীণ জনপদে পানি ঢুকে পড়েছে। ইতোমধ্যে চাষাবাদ, বসতঘর ও স্থানীয় সড়কগুলো আংশিকভাবে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, পানির উচ্চতা আরও বাড়ছে এবং অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে অবস্থা আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বরিশাল আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঝড়ো হাওয়ার গতিবেগ ১০-১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠেছে। এই অবস্থায় নদ-নদীর পানি আরও বাড়তে পারে। আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতিতে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় প্রশাসন নদীতীরবর্তী বাসিন্দাদের সর্তক থাকতে বলেছে এবং প্রয়োজনে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

অতিবৃষ্টির পাশাপাশি নদীর পানি বৃদ্ধি হওয়ায় বরিশাল ও আশপাশের জেলার মানুষের জন্য বড় ধরনের বিপদের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা আরও ব্যাহত হতে পারে।