সলঙ্গায় চুরির পাওনা টাকা নিয়ে খু'ন, গ্রেপ্তার দুই নারী-পুরুষ

নিহত আরাফাত খান ফরিদপুরের কোতোয়ালী উপজেলার আলিপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি সলঙ্গা থানার রাধানগর গ্রামের শাপলা খাতুনের স্বামী এবং ওই এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। আরাফাত হোটেলে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন।

সিরাজগঞ্জ ডিবি পুলিশের ওসি একরামুল হোসাইন জানান, ২৩ মে সকালে হাটিকুমরুল গোলচত্বরের কাছে সওজ অফিসের পরিত্যক্ত ভবনের পিছন থেকে আরাফাতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের স্ত্রী শাপলা খাতুন অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন, যার ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে।

তদন্তের সময় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে শনিবার রাতে আসামী ফিরোজকে হাটিকুমরুল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তার তথ্য অনুযায়ী জুলেখা খাতুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রবিবার আদালতে তাদের জবানবন্দি নেয়া হয় এবং সন্ধ্যায় কারাগারে পাঠানো হয়।

জবানবন্দিতে ফিরোজ জানায়, সে আরাফাতের কাছে চুরির ভাগের ৫ হাজার টাকা পাওনা ছিল। ২২ মে রাতে পাইপ চুরির জন্য হাটিকুমরুলে সওজ অফিসের পরিত্যক্ত ভবনে যায় আরাফাত। সেখানে ফিরোজ ও জুলেখা খাতুনসহ কয়েকজন ছিল। পাওনা টাকা ফেরতের জন্য ফিরোজ আরাফাতকে চাপ দেয়, এতে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

তর্কের এক পর্যায়ে আরাফাত ফিরোজকে থাপ্পর দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ফিরোজ ও জুলেখা মিলে ইট দিয়ে আরাফাতের মাথা ও মুখ থেতলে দিয়ে খু'ন করে। হত্যাকাণ্ডের সময় অন্য দুই সহযোগী পাশেই পাহারা দিচ্ছিলেন।এই ঘটনায় গ্রেপ্তাররা আদালতে পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন এবং আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন। এ ঘটনায় তদন্ত চলমান রয়েছে।সলঙ্গা ও সিরাজগঞ্জ এলাকার মানুষ হত্যাকাণ্ড নিয়ে শোকাহত এবং দ্রুত বিচার দাবি করছেন। ঘটনা এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।