সরবরাহ বন্ধ করলেই বন্ধ হবে দুর্নীতি: দুদক

রবিবার (১৮ মে) সকালে মৌলভীবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে আয়োজিত দুদকের ১৭৫তম গণশুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, হবিগঞ্জ-এর উদ্যোগে এবং মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহযোগিতায় এ গণশুনানির আয়োজন করা হয়।

গণশুনানির শুরুতেই দুদক চেয়ারম্যান সাম্প্রতিক সময়ের প্রতারণা প্রসঙ্গে বলেন, “যেভাবে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পর ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার উদ্ভব ঘটেছিল, সেভাবেই বর্তমানে কিছু ব্যক্তি ভুয়া দুদক চেয়ারম্যান ও সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করছে। আমরা এসব প্রতারককে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনবো।”

তিনি আরও বলেন, “এই গণশুনানির উদ্দেশ্য কাউকে অপমান করা নয়, বরং সচেতনতা তৈরি ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। আমরা চাই, প্রতি মাসে প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি দপ্তরে অন্তত একটি গণশুনানি অনুষ্ঠিত হোক। এতে করে দুর্নীতির প্রবণতা হ্রাস পাবে।”

গণশুনানিতে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুদকের কমিশনার (অনুসন্ধান) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহ্সান ফরিদ, মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হুসাইন, মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার এম. কেএইচ জাহাঙ্গীর হোসেন, সিলেট বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রাফি মো. নাজমুস সা’দাৎ এবং হবিগঞ্জ কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. এরশাদ মিয়া।

গণশুনানিতে উপস্থিত ভুক্তভোগীরা বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ঘুষ, দুর্নীতি, হয়রানি ও সেবার অনিয়ম নিয়ে অভিযোগ করেন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে শোকজ ও তদন্তের নির্দেশ দেন।

শেষে তিনি বলেন, “সমাজে দুর্নীতির গোড়া মিথ্যাচারে। একে রুখতে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।”