পিকনিকে গিয়ে ট্রলারডুবি, নিখোঁজ সুমনের মরদেহ উদ্ধার

নিহত সুমন সিপাহী মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের বাহেরচর কাতলা এলাকার বাসিন্দা এবং কালু সিপাহীর ছেলে।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৬ মে) বিকেলে বাহেরচর কাতলা এলাকার একদল যুবক পিকনিকের আয়োজন করে। ট্রলার ভাড়া নিয়ে আড়িয়াল খাঁ নদে তারা আনন্দ ভ্রমণে বের হন। ঘোরাফেরা শেষে রাতে ফেরার পথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বালুবাহী বাল্কহেড ট্রলারটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রলারটি নদীতে ডুবে যায়।

স্থানীয়দের সহায়তায় ট্রলারে থাকা সবাইকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও চালক সুমন সিপাহী নিখোঁজ ছিলেন। কয়েকজন আহতকে দ্রুত উদ্ধার করে মাদারীপুরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ঘটনার পরপরই মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে উদ্ধার অভিযান চালায়। তবে নদীর স্রোত, রাতের অন্ধকার এবং দুর্ঘটনাস্থলের গভীরতার কারণে অভিযান ব্যাহত হয়। সুমনের নিখোঁজ থাকার খবরটি এলাকায় শোকের ছায়া ফেলে।

রোববার সকালে দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে রাজারচর এলাকায় নদীতে ভাসমান অবস্থায় সুমনের মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তারা পুলিশকে খবর দিলে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক শেখ আহাদুজ্জামান বলেন, “আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও সুমনকে উদ্ধার করতে পারিনি। নদীর গভীরতা ও স্রোতের কারণে অভিযান কঠিন হয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত স্থানীয়দের সহায়তায় তার লাশ পাওয়া গেছে।”

ট্রলার দুর্ঘটনা নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ ও নিরাপত্তা সংকটের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অতিরিক্ত বাল্কহেড চলাচল এবং নিয়ন্ত্রণহীন নৌযান চলাচলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।