প্রকাশ: ১০ মে ২০২৫, ২০:২০
চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ডে বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, তরুণদের দৃঢ় অবস্থানই ফ্যাসিবাদকে রুখে দিতে পারবে। এজন্য সবাইকে মাথা ঠান্ডা রেখে ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের শাসনে লাখ লাখ মানুষ নির্যাতনের শিকার হয়েছে, হাজার হাজার পরিবার হারিয়েছে তাদের স্বজনদের। ৬০ লাখেরও বেশি মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্রকে বিরোধী মত দমনে ব্যবহার করা হয়েছে। এমনকি গুমের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধও হয়েছে শত শত।
ফখরুল দাবি করেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ছয় বছর অন্যায়ভাবে কারাবন্দি রাখা হয়েছে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আজও নির্বাসিত অবস্থায় রয়েছেন। এ অবস্থার অবসানে তরুণ প্রজন্মই মূল চালিকা শক্তি হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বক্তব্যে ফখরুল আরও বলেন, শেখ হাসিনার শাসনের পরিণতি শুধু তাকে নয়, তার সমর্থকদেরও ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে। দেশে এখনো চক্রান্তকারীরা সক্রিয়, কিন্তু তরুণরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে তাদের ষড়যন্ত্র সফল হবে না।
তিনি বলেন, জনগণের শক্তি এখন রাজপথে এবং সেই রাজপথেই নির্ধারিত হবে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। তারেক রহমান যেভাবে ঘোষণা দিয়েছিলেন, ফয়সালা হবে রাজপথে— সেই ঘোষণা ইতোমধ্যেই বাস্তবায়নের পথে।
বিএনপি মহাসচিব আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিও জানান এবং বলেন, এই দল একসময় বাকশাল করে দেশের স্বাধীনতা হরণ করেছিল। জনগণ আর তাদের দেখতে চায় না, দেশের প্রতিটি কোণে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে।
তবে একইসঙ্গে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বর্তমান যারা দেশ পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন তারা সঠিকভাবে পথনির্দেশনা দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন। ফলে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং অর্থনৈতিক সংকট আরও জটিল হয়ে উঠছে।
সবশেষে তিনি তরুণদের উদ্দেশে বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে, যাতে সব ষড়যন্ত্র ধূলিসাৎ হয়ে যায় এবং দেশ একটি গণতান্ত্রিক পথে ফিরে যেতে পারে।