প্রকাশ: ৮ মে ২০২৫, ১১:২৭
কক্সবাজার উপকূলে চোরাচালান রোধে চলমান নজরদারির অংশ হিসেবে মিয়ানমারে পাচারকালে ৭৪২ বস্তা ইউরিয়া সারসহ ১১ জন পাচারকারীকে আটক করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। এই অভিযানে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা কক্সবাজারের উখিয়া, টেকনাফ ও চট্টগ্রাম জেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
গত ৭ মে গভীর রাতে সেন্টমার্টিনের ছেড়াদ্বীপের দক্ষিণে ৪ নটিক্যাল মাইল দূর থেকে একটি সন্দেহজনক কাঠের বোট নজরে আসে কোস্টগার্ড জাহাজ বিসিজিএস মনসুর আলীর। তখন বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকায় উক্ত এলাকায় কোনো বোটের উপস্থিতি সন্দেহজনক বলে মনে করা হয়।
কোস্টগার্ড সদস্যরা বোটটিকে থামার সংকেত দিলে সেটি সংকেত অমান্য করে পালানোর চেষ্টা করে। পরে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধাওয়া করে অবশেষে বোটটিকে থামিয়ে আটক করা হয় এবং চালানো হয় তল্লাশি। এসময় উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ ইউরিয়া সার।
তল্লাশির সময় মিয়ানমারে পাচারকালে থাকা ৭৪২ বস্তা ইউরিয়া সার ছাড়াও পাচারে ব্যবহৃত কাঠের বোট এবং ১১ জন পাচারকারীকে আটক করা হয়। জব্দ করা সার টেকনাফ কাস্টমস ও অন্যান্য জব্দ সামগ্রীসহ আটক ব্যক্তিদের টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ জানান, সার পাচারের মাধ্যমে রাষ্ট্রের রাজস্ব ক্ষতির পাশাপাশি সীমান্ত নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়ছে। তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে সীমান্ত এলাকায় বিভিন্ন রকম ভোগ্যপণ্য, জ্বালানি ও কাঁচা তরকারি নিয়মিত পাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশও উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
সচেতন মহলের মতে, সীমান্তে এই ধরণের কার্যক্রম দ্রুত বন্ধ না হলে টেকনাফ ও আশপাশের অঞ্চলে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে, যা দেশের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।
এই বাস্তবতায় কোস্টগার্ডসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অভিযান এবং তৎপরতা আরও জোরদার করার দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।